পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R& বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি। মথুরা। এই সব দেশ ব্রহ্মর্ষি-দেশ বলিয়। প্রসিদ্ধ। এই সমুদয়দেশসস্থত ব্ৰহ্মজ্ঞদিগের নিকট হইতে পৃথিবীর যাবতীয় লোক স্ব স্ব আচার ব্যবহার শিক্ষা করিবেক । অতি পূর্বকালে ঐ সমস্ত দেশই বিদ্যার স্থান ছিল। বেদ, বেদান্ত ও বেদাঙ্গ শাস্ত্র যাহা ভারতীয় অন্যান্য তাবৎ শাস্ত্রের প্রকাও কাণ্ডস্বরূপ এবং যাহা এখন সমস্ত পৃথিবীর জ্ঞানীদিগের নয়ন ও মন আকর্ষণ করিয়াছে তাহ ঐ সমুদয় দেশে উৎপন্ন হইয়াছিল। ঐ দেশের মধ্যে হিমাদ্রি-পৰ্ব্বতনিঃস্থত, সিন্ধু-সংঙ্গমিতা, মধুর-জলবিশিষ্ট, স্থপ্রশস্ত ও অতিগভীর সরস্বতী নামে এক প্রবাহবতী নদী ছিল। মহারাজ যুধিষ্ঠিরের রাজ্যকালের পূর্বেই ঐ নদীর শেষাৰ্দ্ধভাগ লুপ্ত হইয়াছিল। মহাভারতের তীর্থযাত্র-পৰ্ব্বাধ্যায়ে সেই লুপ্ত ভাগ বিনশন-তীর্থ নামে উল্লিখিত হইয়াছে। উহার প্রথমাৰ্দ্ধভাগ ও তাঁহাতে সম্মিলিত দৃষদ্বতী নদী অদ্যপি বর্তমান আছে। পূর্বকালে ঐ সরস্বতী নদীই ব্রহ্মাবৰ্ত্ত ও ব্রহ্মর্ষি-দেশের প্রধান নদী ছিল। ঐ নদীর উভয় তীর দিয়া রাজর্ষি দেবর্ষি ও ব্রহ্মর্ষিগণের বাস ছিল। তথায় দেবর্ষিগণ ইন্দ্রীদি দেবতার উদ্দেশে যজ্ঞ বন্দনা করিতেন এবং ব্রহ্মষিগণ ব্রহ্মোপাসনা করিতেন। অতএব যে সরস্বতী নদীর উভয়কূলস্থ ভূভাগে জ্ঞান ধর্মের এত আলোচনা হইত, যাহার পরিষ্কার জলে অবগাহন করত ঋষিরা দেহ শুদ্ধ করিতেন, যে সরস্বতী নদী দিয়া বণিকগণ রাজর্ষিগণের নিমিত্তে অসংখ্য অসংখ্য তরণী পূর্ণ করত ভক্ষ্য ভোজ্য ও ব্যবহার্য্য নানাবিধ দ্রব্য আহরণ করিত, যে সরস্বতী নদী বাণিজ্য-দ্রব্যের সহিত নানা দেশের জ্ঞান আনিয়া ঋষিদিগকে