পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতীয় ব্ৰহ্মজ্ঞান। סיכה প্রদান করিত, সেই সরস্বতী নদীকে বৈদিক ঋষিগণ কবিত্বরসে রসান্বিত হইয়া জ্ঞান ও বাক্যের ধন ও পবিত্রতার প্রেরয়ী বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন। তাহার প্রমাণ ঋগ্বেদসংহিতার প্রথম মণ্ডলের প্রথমানুবাকে, তৃতীয় সূক্তে, পঞ্চম ঋকে পাওয়া যাইতেছে। যথা— “পাবকা নঃ সরস্বতী বাজেভিৰ্ব্বাজিনীবতী । যজ্ঞং বষ্ট ধিয়া বস্তু।” শোধনকত্রী, অন্নবিশিষ্টক্রিয়াবতী, কৰ্ম্ম-প্রাপ্য-ধনের প্রেরয়ত্রী সরস্বতী দাতব্য অন্নের সহিত আমারদিগের যজ্ঞকে কামনা করুন |—— অর্থাৎ যে সরস্বতীর জলে আমারদের দেহ পবিত্র হয়, যাহার তীরে আমারদের অন্নবিশিষ্ট ক্রিয়া সকল সম্পন্ন হয়, যিনি নৌকাযোগে ধন আনিয়া দিলে আমারদের যজ্ঞাদি কৰ্ম্ম হয়, সেই সরস্বতী আমারদের যজ্ঞ কামনা করুন। “মহোহৰ্ণঃ সরস্বতী প্রচেতয়তি কেতুন। ধিয়ো বিশ্বা বিরাজতি।” নিজ প্রবাহ দ্বারা সরস্বতী নদী লোকদিগকে বহুজল জ্ঞাপন করেন। সরস্বতী নদী লোকদিগকে তাবৎ জ্ঞান প্রকাশ করেন ।— অর্থাৎ সরস্বতী নদী আপনার প্রবাহ, কি না, অত্যন্ত শ্রোত দেখাইয়া লোকদিগকে ইহাই জানান যে, আমাতে ‘মহঃ অর্ণঃ কি না, গভীর জল আছে। সরস্বতী নদীর উভয় তীরেই জ্ঞানের আলোচনা হয় এবং সরস্বতী নদী দিয়া নৌকাযোগে নানাদেশের সংবাদ আগমন করে, সুতরাং তিনি লোকদিগকে তাবৎ জ্ঞান প্রকাশ করেন। এই সকল নানা কারণে