পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

忘8 বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি । সেই সরস্বতী নদী কালেতে পরম সুন্দরী দেবী রূপে কল্পিত হইয়। বেদ, বেদান্ত, বেদাঙ্গ প্রভৃতি বিদ্যা-স্থানের অধিষ্ঠাত্রী রূপে পূজনীয়া হইয়াছেন। ২। সে যাহাই হউক, জ্ঞান, ধৰ্ম্ম ও বিদ্যার আদর কখনই নষ্ট হয় না। তাহার সংশ্রবে স্থান পবিত্র হয়, গ্রন্থ পবিত্র হয়, মনুষ্য পবিত্র হয় এবং মানবের বাক্য ও ক্রিয়া পবিত্র হয়। যে স্থানে দশ দিন জ্ঞান ধৰ্ম্মের আলোচনা হয়, মনের এমনি গতি যে, সে স্থানকে স্বভাবতঃ পুণ্য, পবিত্র বা তীর্থস্থান বলিয়া মনুষ্য কীৰ্ত্তন করেন। অতএব কবিত্ব-রসে রসান্বিত ভারত ভূমির উর্বর কল্পনা-ক্ষেত্রে ঐ অবস্থা-বিশিষ্ট সরস্বতী নদী যে পূজিতা হইবেন তাহার আর বিচিত্র কি ? ৩ । ঐ সরস্বতী-ধৌত ব্ৰহ্মাবৰ্ত্ত ও তন্নিকটবৰ্ত্তী ব্রহ্মর্ষিদেশ ও তদন্তঃপাতী নৈমিষারণ্য হইতেই সুধামাখা ব্ৰহ্ম-নাম প্রকাশ হইয়াছিল। ঐ সকল দেশের তপোবনে—ঈশ, কেন, কঠ, প্রশ্ন,মুগুক, মাণ্ডক্য প্রভৃতি স্বতঃসিদ্ধ বেদান্ত-বিজ্ঞান-যুক্তউপনিষৎস্বরূপ, ব্ৰহ্মজ্ঞান স্বরূপ, ব্রহ্মানুষ্ঠান-স্বরূপ, আত্মতত্ত্ব স্বরূপ, প্রেম-তত্ত্ব-স্বরূপ, মুক্তি-তত্ত্ব স্বরূপ, যুথি জাতি, ষ্ট্ৰল্লিকা, মালতী, অশোক, কিংশুক, চম্পক প্রভৃতি দেব-সেব্য স্বরভি কুহুম সকল ভারতের বিগত বসন্ত ঋতুতে প্রস্ফুটিত হইয়া চারি দিক্‌ সৌরভে আমোদিত করিয়াছিল। ঐ স্থানেই শারীরক সূত্র দ্বারা ব্যাসদেব উক্ত কুসুমসমূহকে স্থসজ্জিত করিয়া অক্ষয়-বেদান্ত-হার রচনা করিয়াছিলেন । এবং ঐ স্থান হইতেই কি গৃহস্থ কি বানপ্রস্থ সকলেরই নিমিত্তে পরম মুক্তিপ্রদ ব্রহ্মোপাসনার ব্যবস্থা প্রদত্ত হয়। সুতরাং সমগ্র ভারতবর্ষের মধ্যে সরস্বতী নদীর উভয় তীর পুণ্যস্থান, বিদ্যা