পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতীয় ব্রহ্মজ্ঞান। Ե ե > বঙ্গদেশ যদি আর কিছুদিন সে অবস্থায় অবস্থিতি করিত তবে বোধ হয় এত দিন বঙ্গস্থান হইতে হিন্দু ধৰ্ম্ম ও হিন্দু-ব্যবহার অনেক পরিমাণে উঠিয়া গিয় তাহার অধিকাংশ লোক খৃষ্ট ধর্ম গ্রহণ করিত। কিন্তু ঈশ্বরের ইচ্ছা অন্যরূপ হইল। তাদৃশ দুরবস্থার কালে মহাত্মা রামমোহন রায় অধীর না হইয়া কটিবন্ধন পুরঃসর মহাবীরত্ব সহকারে সেই ব্রহ্মজ্ঞানের প্রাচীন কল্প-বৃক্ষকে সন্ন্যাসীদিগের অধিকার হইতে উৎপাটন করিয়া বৃটিস-জাতীয় জনতাকুল প্রধান রাজধানীর মধ্যস্থলে ব্রাহ্মসমাজ নাম দিয়া রোপণ করিলেন । সে সময়ে তৎপ্রতিকূলে কত আপত্তি, কত তর্ক উত্থাপিত হইয়াছিল; কিন্তু রামমোহন রায়ের অসাধারণ বুদ্ধি ও চমৎকার শাস্ত্রীয় বিচারে সর্বজাতীয় তার্কিকেরা অবশেষে পরাস্ত হইলেন। যদিও অদ্য কল্য নানা স্থানে ব্রাহ্মসমাজ নামে নানা ভাবের সভা বসিতেছে, কিন্তু সেই আদি ব্রাহ্মসমাজ–সেই সরস্বতীকুল-প্রতিপালিত ও ব্রহ্মর্ষিগণ-সেবিত জ্ঞানরত্বের পরম ভাণ্ডার এখনও এই মহাধৰ্ম্ম-বিপ্লব-সময়ে অচলপ্রতিষ্ঠ রহিয়াছে । তাহার যত্নে বেদান্ত-দর্শনান্তর্গত নানা গ্রন্থ, নানা উপনিষৎ, নানা শাস্ত্রের তাৎপৰ্য্য, ব্রহ্মজ্ঞান ও যথার্থ মুক্তি-তত্ত্ব প্রকাশিত হইয়া এখন বঙ্গভূমির চতুর্দিকে ধাৰ্ম্মিক হিন্দুগণের আত্মা, মনঃ, গৃহ ও মুখ উজ্জ্বল করিয়াছে। মহাবিপ্লবনকারী খৃষ্টীয় ধৰ্ম্ম এখনও সেই আদি-সমাজে প্রবেশ করিবার কোন ছিদ্র পায় নাই। ৮। এবন্দ্রকারে সহস্ৰ সহস্ৰ বৎসর পূর্বে সরস্বতীর পবিত্র তীরে, ঋষিগণের আশ্রমোপবনে, যে ব্রহ্মোপাসনা প্রথমে উৎপন্ন হইয়াছিল—যাহা পশ্চাৎ ভারতবর্ষীয় মহা