পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতীয় ব্ৰহ্মজ্ঞান। סיס צ বিদ্যা সম্বন্ধে অন্যের দ্বারস্থ হইতে পারি—কিন্তু ইহা অামারদের অল্প গৌরবের বিষয় নহে যে, ব্ৰহ্মজ্ঞান সাধনাৰ্থে যে কিছু উপকরণ প্রয়োজন তাহা আমরা ভারতবর্ষ হইতেই লাভ করিতেছি । ভারতীয় ব্রহ্মবিদ্যা আত্মপ্রত্যয়-সিদ্ধ অসীম ব্ৰহ্মজ্ঞানের সাগর-স্বরূপ ৷ - ১১। রামমোহন রায় যে ব্রাহ্মসমাজ স্থাপন করিয়াছেন তাহা একটি স্বতন্ত্র ধৰ্ম্ম স্থষ্টি করিবার নিমিত্তে নহে এবং হিন্দু সমাজ হইতে বিচ্ছিন্ন ভাবে একটি স্বতন্ত্র সম্প্রদায়ের পত্তন করিবার উদ্দেশেও নহে। তৎকালীন সদাশয় ইওরোপীয়গণের সংশ্রবে তাহার স্বীয় লৌকিক আচার আহত হইয়াছিল বলিয়া লোকে যতই মনে করুন, কিন্তু তাহার উদ্দেশ্য এইমাত্র ছিল যে, তাহার প্রতিষ্ঠিত সমাজের সাহায্যে ও আদশে হিন্দু-সন্তানগণ ক্রমে সেই প্রাচীন-কালীন ব্রহ্মজ্ঞানে ও যথার্থ ভগবৎ-ভক্তিতে পুষ্ট হইয়া উঠিবেন। এ যাবৎকালের যত্নে ও আদর্শে সেই মানব-হিতকর স্বগীয় উদ্দেশ্য যে, অনেকাংশে,সফল হইয়াছে তাহা আমরা ব্রাহ্ম-নামধারী মহাত্মাদিগের জীবন-বৃত্তান্ত দ্বারা সপ্রমাণ করিতে চাই না ; কেবল এইমাত্র বলিয়া পৰ্য্যাপ্ত করিতে ইচ্ছা করি যে, উক্ত আদি-সমাজের অমূল্য সাহায্যে ও আদর্শে বর্তমান কালে ঘোরতর ব্যভিচারের মধ্যে থাকিয়াও বঙ্গবাসী অনেক মহাত্মা উপনিষৎ, বেদান্ত, পঞ্চদশী, ভগবদগীতা প্রভৃতি নানাবিধ ব্ৰহ্মজ্ঞান-প্রতিপাদক শাস্ত্রের পরিচয় পাইয়াছেন এবং অনেকেই তদ্বারা মানসিক উন্নতি লাভ করিয়াছেন। তবে আক্ষেপের স্থল অবশ্যই আছে, কেন না, আলোচনার অভাবে এবং বিষয়ের প্রতি অতিরিক্ত উন্মত্তত জন্য র্তাহারদের উন্নতি