পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

208 বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি। বহুপরিমাণে স্থগিত হইয়া রহিয়াছে। সেই স্বৰ্গীয় মহাবিদ্যার আলোচনা এবং তদনুসারে ব্রহ্মজ্ঞানের আবৃত্তি ও ভগবানের আরাধনা যাহাতে দেশ মধ্যে ক্রমে ক্রমে বিস্তার প্রাপ্ত হয় এই সময়ে তাহার প্রতি আমারদিগকে কটি-বন্ধন পুরঃসর মনোযোগী হইতে হইবেক এবং চতুর্দিকে অভয়-দান পূর্বক এই ঘোষণা দিতে হইবেক যে, আমরা হিন্দুসমাজ-চু্যত করত কোন অভিনব সম্প্রদায় স্বষ্টি করিবার ইচ্ছা করি না। ১২। আমরা ভারতবাসী ঋষিগোত্রজ ও ঋষিপ্রবরজ হিন্দু সন্তানগণকে কোন এক অভিনব ধৰ্ম্মে আহ্বান করিতেছি না এবং তাহারদিগকে শিষ্ট-পরম্পরা-প্রচলিত রীতি নীতির পরিবর্তন করিতেও অনুরোধ করি না । যে ব্ৰহ্মজ্ঞান, ব্রাহ্ম ধৰ্ম্ম ও ঋষি সেব্য সুমিষ্ট শান্তিপ্রদ পরমোজ্জ্বল সভ্যতা অতিপূর্বকালে সরস্বতীকূলে বিস্তারিত হইয়াছিল আমরা সেই ব্ৰহ্মজ্ঞান, সেই ব্রাহ্ম ধৰ্ম্ম এবং সেই উন্নত সভ্যতার প্রতি সকলের চিত্ত আকর্ষণ করিতেছি । ব্রহ্মর্ষিগণ সেই আদিদেবকে যে প্রকার ব্রহ্মজ্ঞান ও একনিষ্ঠ প্রীতির সহিত স্ব স্ব আত্মার মধ্যে ও সর্বঘটে সৰ্ব্বভূতাধিবাস ও ভূতাতীত রূণে দর্শন করিতেন—যে বেদ বেদান্তাদি শাস্ত্রে তাহার স্পষ্ট পরিচয় দিতেছে আমরা সকলকে তাহাই অবগত হইবার নিমিত্তে আহবান করিতেছি। যে অক্ষয় কল্পবৃক্ষ সরস্বতী-তীরে প্রতিপালিত হইয়াছিল, তাহা ভারতবাসীদিগকে মহাপুষ্টিকর অক্ষয় ফল প্রদান করত র্তাহাদের অক্ষয়-স্বৰ্গকামনা ও মুমুক্ষুত্ব পূর্ণ করিতে পারে—যদি আমরা তাহার আশ্রয় গ্রহণ না করিয়া বিদেশ হইতে আনীত কোন ধৰ্ম্ম-ফলদ অথবা কাম-ফলদ তরুর অভিনব চাকচিক্য-দর্শনে তাহার আশ্রয় গ্রহণ করি, তাহাতে