পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংখ্যা ৭ সায়ংকালের দ্বিতীয় বক্ততা । ব্ৰহ্মজ্ঞান ও তাহার অপসিদ্ধান্ত । ১ । “ব্রহ্মজ্ঞান” এই শব্দের প্রকৃত তাৎপৰ্য্য এ পর্য্যন্ত অনেকেই গ্রহণ করিতে পারেন নাই। অনেকে মনে করেন যে, ইহা ব্রহ্ম বিষয়ে কতিপয় শুষ্কজান মাত্র । তাহাই মনে করিয়া অনেকে উহা উপার্জনে অবহেলা করেন, অনেকে বা ব্ৰহ্ম ও ব্রহ্মাণ্ড সম্বন্ধে কিয়ৎপরিমাণ নীরস তর্ক ও বিচার শিক্ষা করত আপনারদিগের শাস্ত্রীয় বিদ্যা বুদ্ধির পরিচয় দিয়া বৃথা অভিমান প্রকাশ করেন। এই শেষোক্ত প্রকারের ব্যক্তির যে, একপ্রকার নাস্তিক তাহ বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। ফলতঃ ব্ৰহ্ম সম্বন্ধে এ প্রকার প্রেমশূন্য শুষ্ক জ্ঞানকে ব্ৰহ্মজন্তুন কহ যাইতে পারে না। ২। অনেকে ব্রহ্মজ্ঞানকে গৃহস্থের পক্ষে অসাধ্য মনে করেন। র্তাহারা ভাবেন যে, দেব দেবীর উপাসনার যত অঙ্গ আছে তাহা সাধন না করিলে এবং শম, দম, বিবেক, বৈরাগ্য প্রভৃতি সাধনে অলৌকিকরূপে কৃতকাৰ্য্য না হইলে ব্ৰহ্মজ্ঞানোপার্জনের অধিকার জন্মে না। ঐরুপ বিবেচনার সঙ্গে সঙ্গে কেহ কেহ এমতও মনে করেন যে, ব্ৰহ্মজ্ঞানী হওয়া সামান্য কথা নহে। তাহা হইতে হইলে পঙ্ক চন্দনে ও শীতোষ্ণে