পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মজ্ঞান ও তাহার অপসিদ্ধান্ত । ՖօԳ সমান জ্ঞান করিতে হয় এবং আত্মীয় ও পর এরূপ ভেদ-জ্ঞান ত্যাগ করিতে হয় । গৃহে থাকিয়া ব্ৰহ্মজ্ঞান উপার্জন করা যায় না এবং পুত্ৰ ভাৰ্য্যাতে যাহার মমতা-বুদ্ধি আছে, ধনোপার্জনে যাহার মতি আছে, সুখ দুঃখ যাহার বোধ আছে এবং পান ভোজন দ্বারা যাহার জীবন ধারণ করিতে হয় তাদৃশ ব্যক্তি দ্বারাও ব্রহ্মজ্ঞান আলোচিত হইতে পারে না। কিন্তু আমারদের বিবেচনায় মুক্তিপ্রদ ব্ৰহ্মজ্ঞান কখন এত অসাধ্য নহে । - ৩। আর কতিপয় ব্যক্তি আছেন; তাহারা ভক্তিযুক্ত ব্ৰহ্মজ্ঞানের আস্বাদ গ্রহণ না করিয়াই “হংস,” “সোহহং,” “তত্ত্বমসি,” “সমাধি,” “নিৰ্ব্বাণ’ প্রভৃতি কতিপয় শব্দ, এবং এমত কি ষট্‌চক্রভেদের অনুযায়ী কতিপয় শব্দ মাত্র অবলম্বন করিয়া অন্যের সহিত ঘোরতর বিতণ্ডা করেন। ফলে আপনার ঐ সকল শব্দের পরিষ্কার ভাবার্থও জানেন না এবং তদনুযায়ী ক্রিয়ার উদ্দেশ্য, প্রকার ও সীমাও অবগত নহেন ৷ সুতরাং অন্যকে তাহ সন্তোষজনক রূপে বুঝাইয়া দিতে পারেন না। কেবল আপনারাই তাহ বিবৃত করিয়া আপনারদের জ্ঞানাভিমান চরিতার্থ করিয়া থাকেন । এইরূপ শুষ্ক ভাব প্রকৃত প্রস্তাবে একপ্রকার নাস্তিকতামাত্র; ভক্তি তাহার ত্রিসীমায় যায় না। এমত জ্ঞানকে কখনও ব্রহ্মজ্ঞান কহিতে পারি না । ৪ । ঐ প্রকারের আর কতিপয় ব্যক্তি ব্ৰহ্মকে এমন উদাসীন বলিয়া ভাবেন যে, তাহাকে তাহারদের মতে স্বষ্টিকর্তা কহ। যাইতে পারে না। র্তাহারদের মত প্রায় কতক পরিমাণে এই প্রকার—যে, এ জগৎ বাস্তবিক নাই। ইহা আকাশ