পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Աs Եր বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি । কুন্ত্রম তুল্য মিথ্যা, কেবল ভ্রম-দৃশ্য-বিশেষ। ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম, পাপ পুণ্য কেবল কল্পনা মাত্র। স্বর্গ, নরক বা পরলোকের তে৷ কথাই নাই, মনুষ্যের আত্মা পাশবদ্ধ ব্রহ্মস্বরূপ । কিন্তু আমরা এ প্রকার অশাস্ত্রীয় মতকে কখনই ব্রহ্মজ্ঞান কহিতে পারি না। ৫ । অনেকে ব্ৰহ্মজ্ঞানকে ঐ সকল নানা কারণে কেবল একটি অর্থশূন্য শব্দ মনে করেন। র্তাহারদের মতে “ব্রহ্মজ্ঞান” শব্দ উচ্চারণ করা বা ব্ৰহ্মজ্ঞান নাম দিয়া ঈশ্বরের জ্ঞান আলোচনা করা কেবল বাতুলতামাত্র। তৎপরিবর্তে সাংসারিক সুখের চেষ্টা করা সৰ্ব্বতোভাবে কর্তব্য। ফলে এ প্রকার ঘোরতর সংসারী নাস্তিকদিগের নিকটে ব্রহ্মজ্ঞান উপদেশের বিষয় নহেন। ৬। ব্রহ্মজ্ঞান সম্বন্ধে ঐ সকল অসঙ্গত সিদ্ধান্তের অনেক গুলি কারণ আছে। আত্মার মধ্যে—হৃদয়ের মধ্যে ব্রহ্মজ্ঞানের উত্তাপ অনুভব ; না করাই ঐ সকল অপসিদ্ধান্তের প্রথম কারণ। “ব্রহ্মজ্ঞান” এই জাগ্রত-ভাবার্থবিশিষ্ট শব্দ ভারতীয় শাস্ত্রসমূহের ও ধৰ্ম্ম-মতসমূহের শিরোরাত্ব। প্রধান প্রজ্ঞান উপনিষৎপ্রণেতা ঋষিগণ যে সরল ও সহজ ভাবে এবং যেরূপ নিৰ্ম্মল আত্মপ্রত্যয়ে ব্রহ্মকে হৃদয়ের মধ্যে ও সমস্ত জগতে সাক্ষাৎ উপলব্ধি করিতেন ও উপলব্ধি করিয়া যে অমৃতানন্দ উপভোগ করিতেন, “ব্রহ্মজ্ঞান” শব্দ সেই সহজ নিৰ্ম্মল ও আত্ম-প্রত্যয়-সিদ্ধ পরম ভাবকে প্রতিপাদন করে । নতুবা উহা কোন প্রকার বোধাতীত ভাব ও কল্পিত ফলকে

  • “অনুভব” শব্দের অর্থ হৃদয়ে স্পর্শ করা—“To feel.”