পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মজ্ঞান ও তাহার অপসিদ্ধান্ত । : כאל জ্ঞাপন করে না । প্রধান প্রধান উপনিষৎশাস্ত্র-সমূহের মধ্যেই ঐরুপ ব্ৰহ্মজ্ঞান-প্রকাশক বচনসমূহ পাওয়া যায়। সেই সকল বচন ব্রহ্মজ্ঞানী ঋষিগণের ব্রহ্ম-উপলব্ধির ও সহজ সদাচারণের অভিজ্ঞান স্বরূপ। প্রত্যেক মানবের আত্মার অভ্যন্তরে ব্রহ্মজ্ঞানের যে বীজাগ্নি নিহিত আছে, তাহার সহিত মিলাইয়া ঐ সকল বচনের মৰ্ম্ম গ্রহণ করিলেই অনুভব করা যাইতে পারে যে, কত সহজে ঋষির ব্রহ্মকে উপলব্ধি করিতেন। যে কোন ব্যক্তি ঐ সকল বচনের মৰ্ম্ম গ্রহণ করিবেন, তিনি আর কিছুতেই ব্ৰহ্মানুভবের পরম স্থান আপন আত্মাকে তাচ্ছল্য করিতে পারিবেন না । অতএব ঐ সকল উপনিষৎ-শাস্ত্রকে হৃদয়ের সঙ্গে ঐক্য করিয়া পাঠ না করাই ঐ সকল অপসিদ্ধান্তের দ্বিতীয় কারণ। ৭। ব্ৰহ্মজ্ঞানের যাহা প্রকৃত মৰ্ম্ম তাহা সংক্ষেপে উপরেই বলা হইয়াছে । আদিতে কেবল প্রধান প্রধান উপনিষৎপ্রকাশক ঋষিগণই ব্ৰহ্মজ্ঞানী ছিলেন। ব্রহ্মজ্ঞান-প্রকাশক যত শ্রুতির বচন দৃষ্ট হয় তৎসমুদয় তাহারদিগেরই সরল হৃদয় হইতে নিশ্বাস প্রশ্বাসবৎ স্বভাবতঃ প্রকাশিত । উপনিষৎ-শাস্ত্রই মূল বেদান্ত ; এবং ব্যাসদেব-প্রণীত শারীরক সূত্র তাহার বিজ্ঞান-শাস্ত্রস্বরূপ। বেদান্ত-দর্শনান্তর্গত আর যত গ্রন্থ আছে তাহা উক্ত বেদান্তসূত্র ও উপনিষৎ শাস্ত্রের ব্যাখ্যামাত্র। সেই সকল ব্যাখ্যার অধিকাংশই অতি সূক্ষবিচারে পরিপূর্ণ। যে আচার্য্যের যেমন বিদ্যাবুদ্ধিও মনের ভাব তিনি সেইরূপ ব্যাখা করিয়াছেন এবং ব্যাখ্যা করিতে গিয়া উপনিষদের ও বেদান্তসূত্রের সরল ভাবকে অনেকেই রক্ষা করিতে পারেন নাই। এইরূপ ব্যাখ্যা-পূর্ণ যত গ্রন্থ আছে