পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>> - - বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি। তৎসমূহের সাধারণ নাম বেদান্ত-দর্শন। কিন্তু উপনিষৎকে বেদান্ত-দর্শন কহা যায় না। তাহাকে বেদ অথবা মূল বেদান্ত কহ যাইতে পারে। অতএব উপনিষৎ ও ব্রহ্ম সূত্র ন৷ পড়িয়া বা অচলা ভক্তি উপার্জন না করিয়া যিনি বেদান্তদর্শনের কোন গ্রন্থ পড়েন, তিনি কেবল এক জন কু তার্কিক হইয়া উঠেন। ফাকি ও মিথ্যা সিদ্ধান্তের প্রতি র্তাহার যত অনুরাগ থাকে—আপনার বিদ্যা বুদ্ধি প্রকাশের দিকে র্তাহার যত দৃষ্টি থাকে—হৃদয়মধ্যে ব্রহ্মকে অনুভব করার পক্ষে তাহার তত অনুরাগ থাকে না। উপনিষৎ ও ব্যাসসূত্র-প্রণীত সহজ উপায় ও ভক্তি-পথ পরিত্যাগ করিয়া বেদান্তদর্শনের পক্ষপাতী হইলেই নানা প্রকার অপসিদ্ধান্ত উপস্থিত হয়। উপরে যে কএক প্রকার অসঙ্গত ও অশাস্ত্রীয় সিদ্ধান্তের উল্লেখ করিয়াছি এই তাহার তৃতীয় কারণ। ৮। অতঃপর, নানাবিধ পুরাণ ও তন্ত্র সকলও ব্রহ্মজ্ঞান সম্বন্ধে অনেক বিবরণ প্রকাশ করিয়াছেন ৷ শ্ৰীমদ্ভাগবত, ভগবদগীতা, যোগবাশিষ্ঠ, মহানিৰ্ব্বাণ-তন্ত্র প্রভৃতি শাস্ত্র সকল প্রচুররূপেই ব্রহ্মজ্ঞানের প্রাধান্য অঙ্গীকার করিয়াছেন। তঃসম্বন্ধেউপনিষদের বচনও বেদান্ত-মীমাংসার সূত্রসমূহই প্রায় সকলের মূল ধন। কিন্তু ঐ উভয় শাস্ত্র যেরূপ সরল ভাবে ব্ৰহ্মজ্ঞান প্রকাশ করিয়াছেন, উপরিউক্ত শাস্ত্র সকল সে সরলতা ও সহজ পথের সম্যক্‌ মৰ্য্যাদা রাখিতে পারেন নাই। তথাপি উপনিষৎ ও ব্রহ্মসূত্র-প্রণীত ব্ৰহ্মজ্ঞান-প্রতিপালক বচন ও ভাবসমূহ হইতে উক্ত পুরাণ, তন্ত্র ও গীতাসমুচ্চয় যে পরম জ্যোতিঃ লাভ করিয়াছেন তাহার নিকট বিজাতীয় ধৰ্ম্মপুস্তক সকল চিরকালের নিমিত্তে খদ্যোতিকার ন্যায় পরাভূত