পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মজ্ঞান ও তাহার অপসিদ্ধান্ত । לכל হইয়া থাকিবেই থাকিবে। কিন্তু তাই বলিয়া আমরা এ কথা কখনই বলিতে পারিন যে, সরলতা বিষয়ে ঐ সকল শাস্ত্র উপনিষৎ ও বাদরায়ণ-প্রণীত ব্ৰহ্মজ্ঞান-প্রকাশক সূত্রসমূহের সমকক্ষ হইতে পারে। উক্ত শাস্ত্ৰ সকলের মধ্যে আবার নানা প্রকারের কল্পনার সহিত এবং ভারতবর্ষের পূর্বকালীন জনসমাজের অবস্থানুযায়ী উদাহরণ ও দৃষ্টান্ত সহযোগে ব্ৰহ্মজ্ঞানপ্রতিপাদক বচন সকল মিশ্রিত হইয়া আছে ; সুতরাং শ্রদ্ধার সহিত উপনিষৎ ও ব্যাসসূত্র পাঠ না করিয়া কেবল ঐ সকল শাস্ত্রোক্ত ব্ৰহ্মজ্ঞান শিক্ষা করিতে গেলেই নানা অপসিদ্ধান্ত উপস্থিত হয়। পূর্বে যে কএক প্রকার অসঙ্গত সিদ্ধান্তের কথা কহিয়াছি এই তাহার চতুর্থ কারণ। ৯ । উপরের উল্লিখিত শাস্ত্র সকল পাঠ করিয়া যে সকল অলীক ও অসঙ্গত সিদ্ধান্ত উপস্থিত হয় তাহা বরং পদে আছে; কিন্তু একেবারে শাস্ত্র না দেখিয়া—কোন জ্ঞানাভিমানী বা সাধুতাভিমানী ব্যক্তির নিকট হইতে দুই চারিটি ব্রহ্মজ্ঞানসম্বন্ধীয় শ্লোক শিক্ষা করিয়াই কেহ কেহ ব্ৰহ্মজ্ঞান জানার এত অভিমান প্রকাশ করেন যে, তাহারদের অলৌকিক সিদ্ধান্ত সকল কিছুতেই অপনীত হইবার নহে। ব্রহ্মজ্ঞান সম্বন্ধে নানা প্রকার মিথ্যা ব্যাখ্যা প্রকাশ হইবার এই পঞ্চম কারণ। ১০ । উপরি উক্ত পঞ্চপ্রকার অপসিদ্ধান্তের নিবারণ করা নিতান্তই কর্তব্য। কিন্তু মুমুক্ষুত্ব ব্যতীত তাহা নিবারিত হয় না। কেবল পাণ্ডিত্য প্রকাশ করিব বা পণ্ডিত হইব বলিয়া যাহার বেদান্ত পড়িতে যান তাহারদের সহিত ব্ৰহ্মজ্ঞানের কোন সম্বন্ধ নাই এবং র্যাহারা দোষ বহির্গত করণোদেশে অথবা ইওরোপীয়দিগকে জ্ঞাপনার্থে অনুবাদ করার নিমিত্তে