পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি। - אנכי তাহা পাঠ করেন, তাহারাও তাহার স্বৰ্গীয় মৰ্ম্ম লাভ করিতে পারেন না । “সারংন জানন খরবৎ বহেৎ সঃ’ তাহারা সার ভাগ পান না কেবল তাহ খরবৎ বহেন মাত্র। কিন্তু"মুক্তিইচ্ছাপূর্বক, সংযতচিত্ত হইয়া, ভক্তিভাবে, ব্রহ্ম জিজ্ঞাসার অনুরোধে যাহারা বেদান্ত পড়িতে অগ্রসর হন তাহারাই বেদান্ত পাঠ দ্বারা তাবৎ শাস্ত্রের মৰ্ম্ম ও ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করিতে পারক হয়েন। ভক্তি ও শ্রদ্ধাব্যতীত কোন বিষয়েরই রস পাওয়া যায় না। বেদান্তশাস্ত্রের আদেশ এই যে, “অয়মধিকারী জননমরণাদিসংসারানলসন্তপ্তে। দীগুশিরাজলরাশিমিবোপহারপাণিঃ শ্রোত্রিয়ং ব্রহ্মনিষ্ঠং গুরুমুপস্বত্য তমনুসরতি।” (বেদান্তসার) জন্ম মরণরূপ সংসারানলে সন্তপ্ত এই অধিকারী কোন প্রকার উপহার হস্তে করিয়া জ্বলিতমস্তক পুরুষের জলাশয় গমনের ন্যায়, শ্রুতির মৰ্ম্মজ্ঞ ব্রহ্মনিষ্ঠ গুরুর নিকট গমন করিবেন। অর্থাৎ কোন ব্যক্তির মস্তক জ্বলিতেছে—অতএব তাদৃশ ব্যক্তি যেমন উৰ্দ্ধশ্বাসে সরোবরাভিমুখে গমন করে, সংসারের প্রখর জপে তাপিত হইয়া তদ্রুপ যে সাধক বিষয়াতীত অমরগণবাঞ্ছিত ব্ৰহ্মরূপ শীতল সলিলে গমন করেন তিনিই ব্ৰহ্মজ্ঞান উপার্জন পূর্বক ব্রহ্মকে নিশ্চিত দর্শন করেন। তাদৃশ ব্রহ্মজিজ্ঞাস্থর নিকটে বেদান্ত-দর্শন স্বকীয় সকল তর্ক সংস্কৃত রাখিয়া স্পষ্টাক্ষরে সেই অতিসূক্ষ ব্রহ্মজ্ঞান প্রকাশ করেন। এমত ভাবে সাধনা করিতে পারিলে “ব্রহ্মজ্ঞান” শব্দের প্রকৃত তাৎপৰ্য্য হৃদয়ঙ্গম হইবেক । “নৈষাতর্কেণ মতিরাপনেয়া” ব্ৰহ্মজ্ঞান তর্কের ফল নহে,কিন্তু অচলা ভক্তির অক্ষয় অমৃত ফল।