পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মজ্ঞান ও তাছার অপসিদ্ধান্ত । כיכל ১১। প্রকৃত ব্ৰহ্মজ্ঞান বেদান্ত-সূত্রের এই কএকটি সার সার কথায় প্রকাশ পাইতেছে। যথা— S। “অথাতে ব্রহ্মজিজ্ঞাসা” এক যে পরমেশ্বর আছেন তাহা সামান্যরূপে ব্যক্তিমাত্রেই জ্ঞাত আছেন, কিন্তু ‘নতদ্বিশেষং প্রতিবিপ্রতিপত্তেঃ বিশেষরূপে তাহাকে সহজে জানা যায় না, এজন্য র্যাহারদের বিবেক, ফলভোগ-বিরাগ, সততা ও মুক্তির ইচ্ছা জন্মিয়াছে র্তাহারা প্রচলিত দেব দেবীর উপাসনাদি কৰ্ম্ম না করিয়াও “তদ্বিজিজ্ঞাসম্ব’ ব্রহ্মকে বিশেষরূপে জানিতে ইচ্ছা করেন। তাহাতে র্তাহারদের অধিকার আছে । ২ । অতঃপর, ব্রহ্ম যে আছেন তাহা কিরূপে জানা যায় তাছ। কহিতেছেন, “জন্মাদ্যস্ত যতঃ” যিনি এই সমস্ত জগতের স্বষ্টি স্থিতি ও সংহারের কর্তা তিনি ব্রহ্ম। “বিশ্বের জন্ম,স্থিতি, ভঙ্গের দ্বারা ব্রহ্মকে নিশ্চয় করি—যে হেতু কাৰ্য্য থাকিলে কারণ থাকে।”ঃ ‘বিচারপূর্বক এই বাক্যার্থকে হৃদয়ঙ্গম করিলেই ব্রহ্মজ্ঞান হয়’ অর্থাৎ জগতের স্বষ্টি, স্থিতি, ভঙ্গের আলোচনা করিলেই ব্রহ্ম আছেন ইহা নিশ্চয় জানা যায়। ‘বেদান্তবাক্যার্থদার্ট্য বেদান্তের এই বাক্যের তাৎপৰ্য্যার্থ অর্থাৎ ব্রহ্ম আছেন তাহা “দার্টা,” কি না, নিশ্চয় ব্ৰহ্ম আছেন তাহা সত্য—তাহাতে লোকের ‘দার্ট্য আছে, কি না, বিশ্বাস মাছে। অতএব বিশ্বাস ও তদবিরোধী যুক্তি ও অনুমান সকলও ব্রহ্ম থাকার প্রমাণ । “ধৰ্ম্মজিজ্ঞাসার ন্যায় ব্রহ্মজিজ্ঞাসায় কেবল শ্রুতিমাত্র প্রমাণ নহে, কিন্তু

  • রামমোহন রায়-বেদান্ত-ভাষী ১৭৩৭ শক ।

➢ ፩ +