পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ΣΣΕ বস্তৃতাকুহুমাগুলি। শ্রুতি ও যুক্তি উভয়ই প্রমাণ ; যেহেতু নিত্যবস্তু-বিষয়ক জ্ঞান অনুভবেতেই পৰ্য্যবসিত হয়, কিন্তু কর্তব্য বিষয়েতে অনুভব অপেক্ষিত নহে, শ্রীতিমাত্রই প্রমাণ ” শ্রীতিশাস্ত্রে যে সকল যজ্ঞাদি করার ব্যবস্থা আছে তাহার অনুষ্ঠানই ধৰ্ম্মজিজ্ঞাসা অথবা কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম বলিয়। কথিত হয় । সেই সকল কৰ্ম্মের প্রমাণ শ্রীতিই ; শ্রুতিভিন্ন অন্য কিছু নহে। সে সকল কৰ্ম্ম করিতে হইলে মানবকে শ্রীতির দাস হইতে হইবেক, তাহাতে আর নিজের কোন অনুভব অর্থাৎ বিচার ব যুক্তি চলে না; স্থতরাং উক্ত হইয়াছে যে তদ্বিষয়ে “অনুভব” আপেক্ষিত নহে। কিন্তু ব্ৰহ্ম-জিজ্ঞাসায় শ্রুতি ও যুক্তি উভয়ই প্রমাণ। শ্রীতি এইজন্য প্রমাণ যে, আদি কাল হইতে মনুষ্য ব্ৰহ্মদর্শনের নিমিত্তে যে পর্য্যন্ত ব্যাকুলত প্রকাশদ্বারা ব্রহ্ম থাকা প্রকাশ করিয়া আসিয়াছেন, শ্রীতি সেই সত্যের পরিচয় দিতেছেন। আর যুক্তি, (এখানে বেদান্তে যুক্তি, অনুভব, অনুমান ও দার্টা, কি না, বিশ্বাস সকল শব্দই একই তাৎপর্য্যে ব্যবহৃত হইয়াছে) এই জন্য প্রমাণ যে, শ্রীতিতে ব্ৰহ্ম আছেন উল্লেখ থাকাতেই যে, সাধকের তাহাতে শ্বিাস হইবে এমত নহে, সে সত্যটি সাধকের হৃদয়ঙ্গম হওয়া চাহি ; এই জন্য বেদান্ত কহেন যে, "নিত্যবস্তু-বিষয়ক জ্ঞান অনুভবেতেই পৰ্য্যবসিত হয়” অর্থাৎ ব্রহ্ম নিত্য—র্তাহার জ্ঞান হৃদয়ে প্রবেশ করা চাহি । হৃদয়ে প্রবেশার্থে যে সকল যুক্তি, অনুভব, অনুমান প্রভৃতি প্রয়োজন তাহাও ব্রহ্মজ্ঞানের প্রমাণ। অতঃপর, ব্রহ্মের অস্তিত্ব হৃদয়ে প্রবেশ করিলে যে অচল বিশ্বাস জন্মে তাহাও প্রমাণ ; তাছা পূর্বেই কহিয়াছি। এতাবতা,ব্ৰহ্ম আছেন, তদ্বিষয়ে জগতের জন্ম, স্থিতি, ভঙ্গ এক