পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মজ্ঞান ও তাহার অপসিদ্ধাস্ত । ΣΣ 4 প্রমাণ ; শ্রুতি এক প্রমাণ ; যুক্তি, অনুভব অথবা প্রত্যয় এক প্রমাণ–এই তিন প্রমাণ । কিন্তু যে ব্যক্তি জগৎকার্য্যের ভালোচনা, বিশ্বাস, অনুভব ও যুক্তি বিন কেবল শ্রুতির দাস হন, তিনি ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ করিতে পারেন না । ১২। অর্থাৎ কেবল বেদ বেদান্ত পড়িলেই যে, ব্রহ্মজ্ঞান হয় এমত নহে। স্বষ্টির প্রকৃতি আলোচনাপূর্বক তাহারে হৃদয়ঙ্গম করা প্রয়োজন, তাহাতে ব্ৰহ্মসভার যে জ্ঞান হৃদয়ে প্রবেশ করে হৃদয়স্থিত অনুভব শক্তিও সেই ব্রহ্মজ্ঞানটি পাইবার জন্য পূৰ্ব্ব হইতে উৎসুক হইয়া থাকায় ঐ অনুভবশক্তিও পরমেশ্বর থাকার এক প্রমাণ হইল। জগদালোচনা ও অনুভব এ উভয়ই পরমেশ্বরকে দেখাইয়া দিতেছে ; কিন্তু শ্ৰুতিপাঠ না করিলে ঐ দ্বিবিধ প্রমাণ উপযুক্তমত বল লাভ করিতে পারে না ; কেন না,তুমি যেরূপে জগতের স্বষ্টি,স্থিতি, নাশের আলোচনা দ্বারা ও অনুভবের দ্বারা ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ করিতেছ, সেই রূপ করিয়া অতিপূর্বকাল হইতে শত শত সাধক ব্ৰহ্মলাভ করিয়াছিলেন,—এই সত্যটি তুমি যখন মানবপ্রকৃতির চিত্রপটস্বরূপ শ্রীতিশাস্ত্র হইতে সংগ্ৰহ করিবে তখন তুমি জানিবে যে, তুমি একা নহ, কিন্তু অনেক সাধক তোমার ন্যায় ব্রহ্মজ্ঞান প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। তখন তোমার বিশ্বাস আরো উজ্জ্বল হইবে,আরো বল লাভ করিবে; কেন না, তুমি তখন জানিবে যে, চিরকাল ধরিয়া মানব-প্রকৃতি ব্ৰহ্মলাভার্থে ব্যাকুল হইয়া আসিতেছে এবং সেই অনাদি পুরুষকে আপন আপন হৃদয়ের মধ্যে ব্রহ্মজ্ঞানীরা হৃদয়ঙ্গমদ্বারা দর্শন করিয়াছেন। তিনি এইরূপে চিরকালই নিজভক্তের কামনা পূর্ণ করিয়া আদিতেছেন। তুমি সকল কথার এই সার মৰ্ম্ম