পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ծ Ֆ বস্তৃতাকুহুমাঞ্জলি | তখন গ্রহণ করিতে পারিবে যে,মানবের হৃদয়ই ব্ৰহ্মকে চাহে, জগৎ ও শ্রুতি তাহার পোষকতা করে। ’ ১৩ । বেদান্ত-মতে হৃদয়, জগৎ ও শ্রুতি এ তিনই পরব্রহ্মের অস্তিত্বের এবং ব্রহ্মজ্ঞানের প্রতি প্রমাণ হইয়াছে । শ্রদ্ধা, ভক্তি, অনুভব ও ব্যাকুলতা প্রভৃতি হৃদয়-ব্যাপারের অভাবে জগৎ ও শ্রীতি নিষ্কল ; জগতের ভাব স্মরণ করা ব্যতীত শ্রীতি ও হৃদয় পঙ্গু । এবং শ্রুতি পরিত্যাগ করিলে হৃদয় ও জগদ্যুৎপন্ন ব্রহ্মজ্ঞান বল লাভ করিতে পারে না । ব্ৰহ্মজ্ঞান তর্কের ফল নহে । হৃদয়ের সহিত জগৎ ও শ্রীতি ও নিজের অনুভব-শক্তির আলোচনায় উহা উৎপন্ন হয়, সুতরাং ভক্তিযুক্ত আলোচনাই বিশেষরূপে ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ করার উপায়। ১৪। এই দুইটি বেদান্ত-বচন হইতে জানা যাইতেছে যে,যজ্ঞাদি কৰ্ম্ম (অদ্য কল্য দেবদেবীর উপাসনা) ব্ৰহ্ম-জিজ্ঞাসা উৎপত্তির কারণ নহে। বেদান্তের মৰ্ম্ম এই যে, যদি বেদান্ত অধ্যয়ন থাকে, তবে যজ্ঞাদি কৰ্ম্ম না করিলেও ব্রহ্ম-জিজ্ঞাসা হয়। কিন্তু বেদান্ত-পাঠের অনন্তরই যে, ব্রহ্ম-জিজ্ঞাসা হয় এমষ্ঠ নহে (কারণ পূর্বেই কথিত হইয়াছে যে, ব্রহ্ম-জিজ্ঞাসায় শ্রীতিমাত্র প্রমাণ নহে) কিন্তু বিবেক, বৈরাগ্য ও শম দমাদির সাধন হইলেই সেই সঙ্গে সঙ্গে ব্রহ্ম-জিজ্ঞাসার উদয় হয়— ফলে একমাত্র শ্রুতি বা বেদান্ত পাঠ দ্বারা তাহ হয় না। যখন শম, দম, বিবেক, বৈরাগ্যের উপরিই বিশেষরূপে ব্ৰহ্মজিজ্ঞাসা দণ্ডায়মান হইল ; তখন দেখাই যাইতেছে যে,মনের অনুরাগই মূল—যাহ! শম, দম, বিবেকাদির নামান্তরমাত্ৰ— জ্বলিতমস্তকে ব্রহ্মরূপ সলিলের কামনাই মূল যাহার সঙ্গে