পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৩০

ব্ৰহ্মজ্ঞান ও তাহার অপসিদ্ধান্ত । רגל সঙ্গে শম দমাদি ও মুমুক্ষুত্ব প্রভৃতি সব রহিয়াছে। অতএব ব্ৰহ্মজ্ঞান শব্দের অর্থ না বুঝিয়া যাহারা তাহাকে শুষ্ক-জ্ঞান মনে করেন তাহারদের ভ্রম। এবং র্যাহার। তাহার পূর্ব অন্যান্য ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্ম ও কোন প্রকার অলৌকিক শম দমাদির সাধন প্রয়োজন বলেন র্তাহারদেরও ভ্রম ৷ যজ্ঞ ও দেব দেবীর পূজা ব্ৰহ্মজ্ঞানের অন্তরঙ্গ নহে। শম দমাদি ভক্তির আনুষঙ্গিক। সুতরাং ভক্তিই মূল । পরন্ত শ্রুতি অথবা শাস্ত্রও একমাত্র মূল নহে। ১৫। এতদূরে ঐ দুইটি বেদান্তসূত্র হইতে আমরা এই বুঝিলাম যে, পরমেশ্বর আছেন এ মূল বোধ সকলেরই আছে, কিন্তু তাহার প্রাপ্তি জন্য হৃদয়-মধ্যে ব্যাকুলতা জন্মিলেই ব্ৰহ্মজিজ্ঞাস উৎপন্ন হয়, জগৎ ও শাস্ত্র তাহার সাহায্য করে। দেব-দেবীর পূজার সঙ্গে সে ব্রহ্ম-জিজ্ঞাসার সাক্ষাৎসম্বন্ধ নাহি, কিন্তু শম,দম,বিবেক,বৈরাগ্য ও মুমুক্ষুত্ব তাহার অব্যৰ্থ আনুষঙ্গিক। শম দমাদি যে, ব্ৰহ্ম-জিজ্ঞাসার আনুষঙ্গিক, তদ্বিষয়ে বেদান্ত কহেন যে, “যথা রাজাসে গচ্ছতীতুক্তে সপরিবারস্য রাজ্ঞোগমনমুক্তং ভবতি তদ্বৎ ।” যেমন রাজা গমন করিতেছেন বলিলে রাজার পার্ষদদিগেরও গমন বুঝায় শম দমাদি তদ্রুপ ব্যাকুলতাযুক্ত ব্ৰহ্ম জিজ্ঞাসার সঙ্গী। সেই শম দমাদির পৃথক সাধন নাহি, সাধন ব্রহ্মেরই—অতএব ব্রহ্ম-লাভার্থে প্রাণ কান্দিয়া উঠিলেই শম দমাদি আসিয়া পুরুষকে আশ্রয় করে। ঐ ক্ৰন্দন, ঐ মস্তকের জ্বালা, ঐ ব্যাকুলত, ঐ ব্ৰহ্ম-জিজ্ঞাসা সজ্ঞান-ভক্তির নামান্তর মাত্র। এইজম্য জ্ঞানী বৈষ্ণবের কহিয়া গিয়াছেন যে, “সকলের সার ভক্তি মুক্তি তার দাসী” । ভক্তি-বিহীন উপাসনা অতি সামান্য উপাসনা। ভক্তিহীম