পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दछुडाकूश्यांबनि । שכל ব্ৰহ্ম-নাম হৃদয়কে আঘাত করে না । যে ভক্তিতে হৃদয়ের কবাট উদঘাটিত হয় তাহার দ্বারাই প্রকৃত ব্রহ্ম-জিজ্ঞাসা, প্রকৃত ব্রহ্মজ্ঞান ও প্রকৃত ভগবদারাধনা হইয়া থাকে। বেদান্তে উক্ত আছে যে, “নসামান্যাদপুপলন্ধেঃ মৃত্যুবল্লহিলোকপত্তিঃ ” ৩অঃ ৩পাঃ ৫২ ৷ সামান্য উপাসনা করিলে মুক্তি হয় না—যেহেতু সে উপাসনায় জ্ঞানও লাভ হয় না, ব্রহ্মও লাভ হয় না। শ্রীতি ও স্মৃতিতে তাহার প্রমাণ আছে। যেমন মৃদু আঘাতে মৰ্ম্মভেদ হয় না, মৃত্যুও হয় না ; কিন্তু দৃঢ় আঘাতে মৰ্ম্মভেদ হইয়া মৃত্যু হয়, সেইরূপ দৃঢ় উপাসনা হইতে জ্ঞান জন্মিয় মুক্তি হয়। কেবল ভক্তি-যোগেই সেই দৃঢ় উপাসনা হইতে পারে—অতএব ভক্তির দাসী মুক্তি। বেদান্ত আরো কহেন যে, “পরেণচ শব্দস্য তাধ্যিং ভূয়ত্ত্বাত্ত্বনুবন্ধঃ ” ঐ, ঐ, ৫৩। পরমেশ্বরের প্রতি প্রীতি আর তদ্বিধ্যৎ’ অর্থাৎ প্রীতির অনুকূল ব্যাপার এই দুই মুখ্য উপাসনা । অর্থাৎ ভগবানের প্রতি প্রেম ও ভগবানের প্রিয় কাৰ্য্যই সার সাধন । “এক আত্মনঃ শরীরেভারাৎ” ঐ, ঐ, ৫৪। অামারদের জীবাত্মা হইতে ঈশ্বর মুখ্যপ্রিয়, অতএব অতি স্নেহ দ্বারা তেঁহ উপাস্ত হয়েন— যেহেতু তিনি আমারদের শরীরে ও আত্মায় পরমোপকারীরূপে অবস্থিতি করেন। “তদেতং প্রিয়ংপুত্রাং” শ্রুতিঃ । তিনি পুত্র হইতে প্রিয়। অতএব আমরা পুত্রকে যে প্রকার স্নেহ করি তদপেক্ষা অধিক স্নেহে তাহাকে আদর করিতে হইবেক । “ব্যতিরেকস্ততস্তাবাভাবিতত্ত্বান্নতৃপলব্ধিবং” ঐ, ঐ, ৫৫ ৷ জীব হইতে পরমেশ্বর ভিন্নই হয়েন—অর্থাৎ পরমেশ্বর নিজে