পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՏՀe বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি রায় ইহার এই উত্তর দিয়াছেন যে, “তাহারা কি প্রমাণে এ বাক্য রচনা করেন তাহ জানিতে পারি নাই; যেহেতু আপনারাই স্বীকার করেন যে, নারদ, জনক, সনৎকুমারাদি ; শুক, বশিষ্ঠ, ব্যাস, কপিল প্রভৃতি ব্ৰহ্মজ্ঞানী ছিলেন অথচ ইহঁারা অগ্নিকে অগ্নি জলকে জল ব্যবহার করিতেন এবং রাজ্যকৰ্ম্ম আর গার্হস্থ্য এবং শিষ্য সকলকে জ্ঞানোপদেশ যথাযোগ্য করিতেন তবে কিরূপে” ঐ কথা স্বীকার করা যায়ঃ। ১৭। অতঃপর, “তত্ত্বমসি,” “হংস,” সোহহং,” “নিৰ্ব্বাণ’ প্রভৃতি শব্দ সকলের যে কিছু ভাল অর্থ আছে তাহাও একমাত্র অচলা সজ্ঞান ভক্তির মধ্যগত । এস্থলে তাহার সারার্থ দেওয়ার প্রয়োজন নাই । ১৮। র্যাহারা জগৎ মিথ্যা বলেন র্তাহারদের সে কথার যদি কোন গুঢ় অর্থ থাকে তাহা তাহারা আপনারাই জানেন না ; কারণ অত্যন্ত ঈশ্বর-প্রেম উৎপন্ন হইলে সেই প্ৰেমযুক্ত ধ্যানের অবস্থায় তেমন বোধ হইতে পারে। কিন্তু তাই বলিয়া প্রকৃত প্রস্তাবে জগৎ মিথ্যা নহে। ঈশ্বর যেমন সৎ জগতও তাহার আশ্রয়ে তেমনি সৎ । যদি কখন পরমেশ্বর এই জগৎ সংহার করেন তখন ইহা মিথ্যা হইতে পারে; ফলে তাহার সহিত ইহার বর্তমান সত্যতার কোন রিরোধ নাই। অপর, বেদান্তেই কহেন যে,—“অসদিতিচেন্ন প্রতিষেধমাত্ৰত্নাং” হুপ্তির আদিতে জগৎ অসৎ ছিল—সেইরূপ অসৎ জগৎ সৃষ্টিসময়ে উৎপন্ন হইল এমত নহে। যে হেতু সতের ‘প্রতিষেধ, কি না, বিপরীত অসৎ। সং শব্দে সত্য বা

  • রামমোহন রায় বেদান্তের ভূমিকায় —শকাব্দ। ১৭৩৭ ৷