পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মজ্ঞান ও তাহার অপসিদ্ধান্ত । ծ :) অস্তিত্ব। অসৎ শব্দে মিথ্যা বা অনস্তিত্ব। সুতরাং স্বষ্টির পর যদি জগতের অস্তিত্বের অভাব হয় তবে কি প্রকারে জগৎsঅস্তিত্ব লাভ করিল ? সুতরাং জগৎ যখন আছে তখন উহা সত্য। যখন ছিল না তখন তো কাজে কাজেই মিথ্য ছিল । অতএব এই কথা বলিতে হইবে যে, জগদীশ্বর অসদবস্থা হইতে জগৎকে সদবস্থায় আনিয়াছেন। অর্থাৎ কিছুই ছিল না—তিনি আলোচনা করিলেন আর এই জগৎ উৎপন্ন হইল। এতাবত, সত্য-জগতের অস্তিত্ব অস্বীকার করা বা তাহাকে ভ্রম দৃশ্য বল অযুক্ত। পরমেশ্বর সত্যস্বরূপ। তিনি যাহ করেন তাহা মিথ্যা করেন না । তাহার কীৰ্ত্তি ঐন্দ্রজালিক নহে । এখন এই জগৎ যেমন জাজ্বল্যমান রহিয়াছে ইহাকে মিথ্যা বলা তো বেদান্তের অভিপ্রায়ই নহে ; আবার স্বষ্টির পূর্বে জগতের যে অসদবস্থা উপরে উল্লিখিত হইল তাহাকেও বেদান্ত অতি সূক্ষ দৃষ্টিতে সৎ বলিয়া অনুমান করেন। “সত্তচ্চাবরস্য’ ২। ১ । ১৬ । অবর অর্থাৎ জগৎরূপ-কাৰ্য্য স্বষ্টির পূর্বে সত্যস্বরূপ ব্রহ্মের মধ্যে ছিল। স্বস্ট ইহয়াও ব্রহ্মেরই মধ্যে আছে। যদিও বেদে স্থানে স্থানে কহেন যে,স্থষ্টির পূর্বে জগৎ অসৎ ছিল অর্থাৎ ছিল না; কিন্তু বেদান্ত তাহার এইরূপ অর্থ করেন যে, “অসদ্ব্যপদেশাদিতি চেন্ন ধৰ্ম্মান্তরেণ বাক্যশেষাৎ’ ২১৷১৭ অর্থাৎ বেদে কহেন বটে যে, স্বষ্টির প্রাক্কালে জগৎ ছিল না, কিন্তু সেরূপ কথনের তাৎপৰ্য্য অন্যরূপে বুঝিতে হইবে। যথা স্বষ্ট্রির পূর্বে জগৎ নাম রূপে প্রকাশ ছিল না,ফলে সূক্ষভাবে ব্রহ্মের শক্তিরূপ কারণেতে সন্দ্রপে বিদ্যমান ছিল—এই তাৎপৰ্য্য মতান্তরে বাক্য-শেষে ঐ বেদই স্বীকার করিয়াছেন । এই ליצ