পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s२२ বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি । দুইটি বেদান্তসূত্রের তাৎপৰ্য্য এখন এইরূপে অবধারণ করা যাউক যে, এখন জগৎ যাহা অাছে এবং ভবিষ্যতে ইহাতে যে কিছু পরিবর্তন হইবে স্বষ্টির পূর্বে সেই সমগ্ৰ ভাব অবল্পকৃত ভাবেঞ্চ জগদীশ্বরের শক্তি-কোষে বর্তমান ছিল। তখন যে, তাহা তদ্রুপ সূক্ষ ও অব্যক্তভাবে ছিল তাহা মিথ্যা নহে— সত্য সত্যই ছিল। কারণ সত্যস্বরূপ পরমেশ্বরের শক্তির মধ্যে মিথ্য স্থান পাইতে পারে না, ভ্রমও থাকিতে পারে না। স্বতরাং সে ভাবে তখনও জগৎ সত্য ছিল আর এখন তো প্রকশ্ব্যরূপে সত্য আছেই। বেদান্তের এই তাৎপর্যা কেমন মনোহর ! এমন তাৎপর্যা থাকিতেও র্যাহারা জগৎকে বাস্তবিক মিথ্যা বলেন র্তাহারদের অত্যন্ত ভ্রম। এই কথার আনুষঙ্গিক আর একটি কথাও বুঝিতে হইবে যে, স্বষ্টির পূর্বকার জগতের সেই অবস্থাকে অসৎই বল আর সৎই বল আর এখনকার জগতের যে সদবস্থা দেখিতেছ এই সর্বাবস্থায় সৰ্ব্বকালে পরমেশ্বর স্বয়ং জগদীয় স্বরূপ হইতে ভিন্ন স্বরূপেই অবস্থিতি করিতেছেন। বহু বিচারের পর বেদান্ত অবশেষে ইহাই স্থির করিয়াছেন যে, তিনি অপেন স্বরূপকে কখনও জগৎরূপে পন্ধুিত করেন নাই; কিন্তু তিনি আলোচনা করিলেন আর র্তাহার শক্তি হইতেই এই আশ্চর্ষ্য রচিত অনন্ত বিশ্ব উৎপন্ন श्ल । ১৯। অতএব জগৎ কখনও ভ্রম-দৃশ্য নহে, কখনও মিথ্যা নহে এবং স্বয়ং পরমেশ্বরও কখনও জগৎ বা জীব হন নাই ।

  • আমার স্বষ্টিগ্রন্থে অব্যক্ত প্রকরণ পড়হ।