পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মজ্ঞান ও তাহার অপসিদ্ধান্ত । כיל כי ২০ । প্রকৃত ব্রহ্মজ্ঞান যেরূপে উপার্জিত হয় তাহ। বেদান্তের এই কএকটি কথাতেই পাওয়া যাইতেছে। তার্কিকগণের আর যত আপত্তি আছে ভরসা করি তাহার খণ্ডন উহাতেই হইয়াছে। মানবের চৈতন্য যাহাকে আমরা জীবাত্ম। বলি তাহা কখনও ব্রহ্ম নহে এবং পাপ পুণ্য, পরলোক কখনও মিথ্যা নহে। যদি ও সকল মিথ্যা হইত তবে মৃত্যুর পর দেহ থাকে কি না ও কিরূপ আনন্দ সম্ভোগ হয় তদ্বিষয়ে ভূরি বিচারান্তে বেদান্তে কখন এরূপ সিদ্ধান্ত হইত না যে, মৃত্যুর পর মুক্ত ব্যক্তির দেহ না থাকিলেও কেবল সঙ্কল্পদ্বারা ভোগাদি করেন । “সঙ্কল্পাদেবতু তৎশ্রীতেঃ । অতএব চানন্যাধিপতিঃ।” মুক্তেরা ব্রহ্ম হইয়া যান না,কিন্তু আপনারদের ইচ্ছার যোগে ব্রহ্মানন্দ প্রভৃতি উপভোগ করেন। তাহারদের শরীর থাকে না । কিন্তু তথাপি যদি তাহারা ইচ্ছা করেন তবে শরীর দেখাইতে পারেন এবং সংকল্প দ্বারাই তাহ সিদ্ধ হয়। “উভয়বিধং বাদরায়ণোহতঃ” বেদান্তে লেখেন যে, মুক্ত হইলে ( পরলোকে ) দেহ থাক না থাকা উভয় প্রকার মুক্তের ইচ্ছামতে হয়। ইহা বাদরায়ণের মতঃ । ২১। অতএব জীবাত্ম কখনও ব্রহ্ম নহে। পাপ পুণ্য মিথ্য নহে, পরলোক কল্পিত নহে । ২২। এতাবত, আমরা সহজ জ্ঞান, আত্মপ্রত্যয় ও বিশুদ্ধ যুক্তি হইতে ধৰ্ম্মসম্বন্ধে যত সত্য পাইতেছি, বেদান্তদর্শন সুন্দর বিচার ও মীমাংসার সহিত তাহাই প্রকাশ করিতেছেন। প্রকৃত প্রস্তাবে যাহা আমারদের মনের সহিত ঐক্য হয় না

  • আমার স্বষ্টিগ্রন্থের ভূমিকা পাঠ করহ ।