পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ab" বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি। প্রগ্রহশ্বরূপ জান। ইন্দ্ৰিয়সকল অশ্ব, বিষয়সকল তাহারদের চলিবার পথ, আর ইন্দ্রিয়-মনোযুক্ত যে আত্মা সেই ভোক্তা অর্থাৎ জীবাত্মারূপ রথীই শুভাশুভ ফলভোগ করেন। মনীষিরা এপ্রকার বলেন। যে ব্যক্তি অবিজ্ঞানবান আর সর্বদা অযুক্তমনা, তাহার ইন্দ্ৰিয়সকল সারথির দুষ্ট অশ্বের ন্যায় বশে থাকে না। কিন্তু যে ব্যক্তি বিজ্ঞানবান আর সর্বদা যুক্তমনা, সারথির শিক্ষিত অশ্বের ন্যায় তাহার ইন্দ্ৰিয়সকল বশীভূত হয়। যে ব্যক্তি অবিজ্ঞানবান, অবশচিত্ত ও সর্বদা অশুচি, সে সেই পরম পদ প্রাপ্ত হয় না কিন্তু সংসার-গতিই প্রাপ্ত হয়। যিনি বিজ্ঞানবান, স্ববশ আর সর্বদা শুদ্ধচিত্ত তিনি সেই ব্রহ্মপদ লাভ করেন র্যাহা হইতে র্তাহার পতন হয় না। বিজ্ঞানই যাহার সারথি, মন যাহার প্রগ্রহ তিনি সংসারপার সেই সৰ্ব্বব্যাপী বিষ্ণুর পরম পদ প্রাপ্ত হয়েন। ৫ । এই বেদ-বচন হইতে এই শিক্ষা পাওয়া যায় যে, আমারদের আত্মাই রথী ও শরীর রথ । বুদ্ধি অর্থাৎ বিজ্ঞান সেই রথীর আজ্ঞাধীন সারথি । ইন্দ্রিয়গণ অশ্ব আর মন ঐ সারথির হস্তের প্রগ্রহ কি না রাসরজজু। - বিষয় ইন্দ্রিয়গণের গমনের পন্থা আর গম্যস্থান ব্রহ্ম নিকেতন। জীবাত্মা যদি বিজ্ঞানরূপ সারথির দ্বারা মনোরূপ রজ্জ্ব দিয়া ইন্দ্রিয়স্বরূপ অশ্বগণকে আপন বশে চালাইতে না পারে, তবে সে রথ এবং জীবাত্মা স্বয়ং ও সারথি এ সমুদয় বিষয়রপ দুৰ্গম পথে ভগ্ন হইয় পড়ে আর মনোরূপ রজ্জ্বও ছিন্ন হইয়া যায়। অর্থাৎ অবিজ্ঞানবান জীবাত্মার নিজ দোষে; কি না, সতর্কতার অভাবে তাহার ইন্দ্রিয়গণ যদি একটু বিপথে যায় অথবা বিষয়-বত্বের মধ্যে দুষ্টত করে তবে তৎক্ষণাৎ কর্তা ও ভোক্তাস্বরূপ জীবাত্মার