পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি । ם כי כי ৭ । ইন্দ্রিয় কাহাকে কহে তাহ৷ সকলেই অবগত আছেন। কিন্তু অনেকে কেবল কাম-রিপুর সেবাকেই ইন্দ্রিয়-দোষ বলিয়। জানেন আর র্যাহার সে দোষ নাই তাঁহাকেই জিতেন্দ্রিয় কহেন। যদি শাস্ত্রের তাৎপৰ্য্যানুসারে চলা যায় তবে ইন্দ্রিয়দোষ ও ইন্দ্রিয়-দমনের বিস্তীর্ণ অর্থ হইয়া উঠে । আমারদের পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয় যথা কৰ্ণ, ত্বচ, চক্ষু, রসনা ও নাসিকা । ইহারদের আসক্তির বিষয় পঞ্চপ্রকার যথা—শব্দ, স্পর্শ, রূপ, রস ও গন্ধ—ক্রমোযথা । অতঃপর কৰ্ম্মেন্দ্রিয় পঞ্চপ্রকার যথা বাক্, পাণি, পদ, উপস্থ ও গুহ । ইহারদের বিষয় পঞ্চপ্রকার ক্রমোযথা—বাক্য, গ্রহণ, গমন, জনন ইত্যাদি। সৰ্ব্বশুদ্ধ এই দশ প্রকার ইন্দ্রিয় এবং মন তাহারদের অধিপতি । এই সকল ইন্দ্রিয়ের সাহায্য ও ইন্দ্রিয়গোচর লব্ধ-জ্ঞানের অবলম্বন ব্যতীত মন কোন কাৰ্য্য করিতে পারে না । মনই ইন্দ্রিয়গণকে বিষয়ে প্রেরণ করে । মনই তাহাদের সহযোগে বিষয়ের জ্ঞান আহরণ পূর্বক তাহা স্মরণ করিয়া রাখে এবং চিন্তা ও কল্পনা দ্বারা সেই জ্ঞানকে প্রসারিত ও চিত্রিত করিয়া থাকে। কিন্তু সে সমুদয় জ্ঞানই বিষয় হইতে সংগ্রহ করা এজুন তাহাকে বৈষয়িক জ্ঞান কহ যায় ; আর যখন তাদৃশ কোন জ্ঞান হৃদয়কে স্পর্শ করে এবং হৃদয়কে স্পর্শ করিয়া হৃদয়নাথকে নিবেদিত হয় তখনই তাহা বিষয়ের অতীত স্বগীয় পথে প্রসারিত হইয়া থাকে। মন যদি আত্মার বশে না থাকে, আর যে জ্ঞানলাভ করে তাহা যদি আত্মারূপ রাজার কোষাগারে প্রেরণ না করে তবেই সে মন আত্মবিরোধী ও যথেচ্ছাচারী হইল। অতএব তাহাকে আত্ম-বিজ্ঞান দ্বারা ধৃতপূর্বক বশে আনিতে হইবেক ।