পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইন্দ্রিয়-দমন ও ভগবৎসেবা । לסיכי ৮ । মনকে বশ করিতে পারিলে তদধীন সকল ইন্দ্রিয়কেই বশ করা যায়,কেন না,এস্থলে শাস্ত্র কহেন যে,মন ইন্দ্রিয়রূপ অশ্বগণের রাসস্বরূপ। আত্মারাপ রথী বা র্তাহার বিজ্ঞান সারথি যদি ভাল করিয়া তাহ ধরিতে পারেন তবে ইন্দ্রিয়গণ সৎ অশ্বের ন্যায় বশীভূত হয়। ৯ । ইন্দ্রিয়গণকে স্ব স্ব কাৰ্য্য একেবারে করিতে ন৷ দেওয়া শাস্ত্রের তাৎপৰ্য্য নহে ; কিন্তু তাহারা কুপথে না যায় এবং সীমার বহিভূত না হয় অথচ পরমেশ্বরের প্রিয় কার্য্যে নিযুক্ত থাকে তদনুযায়ীরূপে তাহারদিগকে দমন করা, কি না, বশতাপন্ন করাই শাস্ত্রের উদ্দেশ্য। “ন তথৈতানি শক্যন্তে সংনিয়ন্তমসেবয়া । বিষয়েযু প্রজুষ্টানি যথা জ্ঞানেন নিত্যশঃ ॥” যেমন জ্ঞানের আদেশে যথাযোগ্য ব্যবহার দ্বারা বিষয়াসক্ত ইন্দ্রিয় সকলকে নিত্য বশে রাখা যায় । নিতান্ত ভোগ-পরিত্যাগ দ্বারা সেরূপ পারা যায় না। বস্তুতঃ তাদৃশ প্রকারে কেবল একটি দুটি ইন্দ্রিয়কেই বশীভূত করিলেই যে, হইবে এমত নহে ; অতএব ঐ দশটিকেই যথোপযুক্তরূপে স্বশাসিত ও নিয়মিত করিতে হইবেক । তাহারদের মধ্যে উপযুক্তরূপ সামঞ্জস্য রক্ষা করিতে পারিলেই কৃতকাৰ্য্য হওয়া যাইবেক । ১০। পূর্বে উক্ত হইয়াছে যে, মন ও ইন্দ্রিয়গণের বিষয় লইয়াই ব্যবহার। কিন্তু জীবাত্মা তাহারদিগকে বশীভূত করিতে পারিলেই তাহারা জীবাত্মার বিষয়াতীত ভাবের অধীন হইবেক। জীবাত্মার কার্য্য ব্রহ্মারাধনী—সুতরাং তাহার বশীভূত মনাদি ইন্দ্রিয়গণ জীবাত্মার ইচ্ছানুরূপ ব্ৰহ্ম-পূজার উপকরণ ংগ্ৰহ করিয়া দিবেক এবং আপনার বিষয়ের অপরিহার্য