পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 ՉՀ বস্তৃতাকুন্থমাঞ্জলি । বাধ্যতা হইতে মুক্তি লাভ করিবেক । কিন্তু জীবাত্মা যদি ব্ৰহ্ম-পূজায় মতি না দেয় তাহা হইলে বিধিপূর্বক মনের সহিত ইন্দ্রিয়-দমন সম্ভবেনা।—বরং ইন্দ্রিয়গণের যে তামসী গতি তখন জীবাত্মারও সেই অধোগতি হয়। ১১। অনেকে ভদ্রতা ও সভ্যতার অনুরোধে প্রধান প্রধান ইন্দ্রিয় গুলিকে দমন করিতে পারেন। তাহ অবশ্য ংসনীয়। কিন্তু হৃদয় ব্ৰহ্মপূজায় ব্রতী না হইলে, কোন না কোন ইন্দ্রিয় বিষয়ারণ্যে ভ্ৰাম্যমান থাকিবেই থাকিবে । ব্ৰহ্ম র্যাহার লক্ষ্য নহেন তাহার সকল ইন্দ্রিয়ই বাহ্যতঃ নিরুপদ্রব হইলেও, তাহার মন, ইন্দ্রিয়-লব্ধ পূর্ব উপকরণ সম্বল করিয়াই মানসে কল্পিত বিষয়ের সহিত রমণ করিতে পারে। অতএব ব্ৰহ্মদৃষ্টি বিনা কিছুতেই নিস্তার নাই। ১২। ব্ৰহ্মদৃষ্টি হইলেই যে একেবারে তাবত ইন্দ্রিয় দমন হইয়া থাকে এমত নহে। ফলে ইহা সত্য যে ব্রহ্মদৃষ্টি বিনা কোন মতেই চূড়ান্তরূপে ইন্দ্রিয়সংযম হইতে পারে না। অতএব ব্ৰহ্মপূজায় র্যাহারদের উদ্দেশ্য আছে তাহারদের উচিত যত্নপূর্বক সকল ইন্দ্রিয়কে যথোপযুক্ত নিয়মিত করেন । ১৩ । ইত্যগ্রে বলিয়াছি যে ইন্দ্রিয়গণের আতিশয্যদোষ নিবারণ করাই শাস্ত্রের তাৎপৰ্য্য। দর্শন, শ্রবণ, স্ত্রাণন, আস্বাদন, ও স্পৰ্শন এই পাঁচটি জ্ঞানেন্দ্রিয়ের ও বাক্, পাণি, পদ প্রভৃতি পাঁচটী কৰ্ম্মেন্দ্রিয়ের প্রত্যেককে বুদ্ধিপ্রবৃত্তি ও ধৰ্ম্মপ্রবৃত্তির সীমার মধ্যে বিচরণ করিতে দেওয়া কৰ্ত্তব্য— তাহা হইলেই তাহারদের দ্বারা মানব ঈশ্বরের প্রিয়কাৰ্য্য সাধন করিয়া লইতে পারিবে এবং তাহাতেই ভগবানের সেবকের