পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইন্দ্রিয়-দমন ও ভগবৎসেবা । Yo©¢ ধারণ করিবেন । হস্তদ্বারা তাহার কার্য্য করিবেন, এবং পদদ্বয়কে তাহারই কাৰ্য্যাৰ্থ গমনাগমনে নিযুক্ত রাখিবেন। যে ইন্দ্রিয়গ্রামবিশিষ্ট দেহ অদ্য বা অব্দশতান্তে অবশ্যই ত্যাগকরিতে হইবে তাহার দ্বারা এইরূপে ভগবানের সেবা করিয়া লইবেন । তাহারই নাম ইন্দ্রিয়-দমন, তাহারই নাম ইন্দ্রিয়নিগ্রহ ; তাহারই নাম বিষয়ত্যাগ, তাহারই নাম মায়া পরিত্যাগ। নতুবা— ন জাতু কামঃ কামানামুপভোগেন শাম্যতি । হবিষা কৃষ্ণবক্সেব ভুয় এবাভিবৰ্দ্ধতে ॥ মনুঃ ২ ৷ ৯৪ ৷ বিষয়োপভোগদ্বারা কামনার কখনই শান্তি হয় না বরং পূর্বাপেক্ষা অধিকই হয়, যেমন দ্বতদ্বারা অগ্নি নিৰ্ব্বাণ হয় না বরং আরো প্রজ্বলিত হইয়া উঠে । ১৬। সুতরাং অভ্যাস ও সাধনাদ্ধারা ইন্দ্রিয়গণকে বিষয়ের সেবা হইতে উদ্ধার করত ভগবানের সেবায় নিযুক্ত করিবে। কিন্তু কেহ যেন এ প্রকার বিবেচনা না করেন যে অগ্রে চূড়ান্তরূপে ইন্দ্রিয়দিগকে বিষয়-ব্যাপার হইতে উদ্ধার করিয়া এবং ইন্দ্রিগণের কর্তা মনকে একেবারে নির্বিষয়ী করিয়া তবে ভগবানের সেবা করিব—কারণ র্তাহারদের শুনা আছে যে ইন্দ্রিয় দমন ব্যতীত পরমেশ্বরের উপাসনায় অধিকার জন্মে না। র্তাহারদের এ প্রকার বিবেচনা ভ্ৰম । ইন্দ্রিয়নিগ্ৰহ দ্বারা চরিত্র শোধন ও সাধুতা অভ্যাস, এবং ভগবানের উপাসনা এই দুই কাৰ্য্য নিয়মপূর্বক একই সময়ে আরম্ভ করিতে হইবেক, তাহাতেই বরং পরমেশ্বরের নামের গুণে ইন্দ্রিয় সকল সুচারুরূপে বশীভূত হইতে থাকিবেক এবং যৎপরিমাণে তাহার