পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3. বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি । স্বরূপ তত বুঝিতে পারি না। অর্থাৎ “তিনি আছেন” ইহা যত জানি, “তিনি কি প্রকার” তাহা তত জানি না । ইন্দ্রধনুর দৃশ্য যত দৃষ্টিগোচর হয়, তাহার স্বরূপ, তাহার তত্ত্ব তত পাওয়া যায় না । এই বিভিন্নতার কারণ কেবল আমারদেরই অপূর্ণতা । আমরা অপূর্ণ বলিয়াই আমরা যাহার অবয়ব দেখি, পূর্ণভাবে তাহার তত্ত্ব পাই না এবং যাহার অস্তিত্ব অনুভব করি তাহার স্বরূপ বুঝিতে পারি না । পৰ্ব্বত দেখিতেছি, কিন্তু তাহার স্বরূপের জ্ঞান সম্পূর্ণরূপে পাই না, মানবকে দেখিতেছি, তাহাকে চিনিয়া উঠিতে পারিন, “দেশ আছে” জানিতেছি কিন্তু তাহ অখণ্ডভাবে গ্রহণ করিতে অক্ষম, কালের অস্তিত্ব বেশ বুঝিতেছি, কিন্তু অনাদি অনন্ত কালকে মনেতে ধারণ করিতে অপারক। যাহা দেখিতেছি, যাহা অনুভব করিতেছি, তাহার কেবল বাহ্য সভা, সাধারণ অস্তিত্ব ও প্রকাশ্য আবির্ভাব দেখিতেছি বা মনেতে অনুভব করিতেছি ; কিন্তু তাহার গৃঢ়-স্বরূপ, সংবৃত তত্ত্ব সম্পূর্ণভাবে পাই না। তবে, সকলের শ্রেষ্ঠ—সকলের স্রষ্ট মহেশ্বরের মহামহিম ও নিগৃঢ়তম স্বরূপের পরিপূর্ণ জ্ঞান আমরা কোথ। হইতে পাইব ? “অস্তীতি ব্রুবতোহন্যত্র কথং তদুপলভ্যতে”। যে ব্ল্যক্তি বলে যে, তিনি আছেন তদ্ভিন্ন অন্য ব্যক্তি দ্বারা তিনি কিপ্রকারে উপলব্ধ হইবেন ? ৩ । কিন্তু কোন বস্তুর স্বরূপের বা তত্ত্বের সাধারণ আবির্ভাব ব্যতীত তাহার অস্তিত্ব বা সন্তা জানা যায়না। কেন না, ইন্দ্ৰধনু স্বকীয় যে সমুদয় বিচিত্ৰতা দ্বারা নরের মনোহরণ করে, সে বিচিত্রতার সাধারণ প্রদর্শন ব্যতীত যেমন সে ইন্দ্ৰধনু প্রত্যক্ষ হইত না, সেইরূপ জগৎকৰ্ত্তার যে বিচিত্র