পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ծ Չեր বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি অন্ন থাকে না, পরিধানে হয়তো বসন থাকে না—অন্তকরণেও র্তাহার দীনহীনতা বিরাজ করে । কিন্তু তিনি স্বয়ং সংসারের কষ্ট মনে করিতে পারেন না—সে সম্বন্ধে লোকেই তাঁহাকে দরিদ্র বলে এইমাত্র, তিনি সেই ভক্তবৎসলের দ্বারে প্রেমের ভিখারীরূপে দণ্ডায়মান থাকেন—প্রেম যতই পান তাহার দরিদ্র-হৃদয়ের আকাঙ্ক্ষার আর পরিসমাপ্তি হয় না। সুতরাং তিনি স্বয়ং আপনাকে অতি দীন বলিয়াই জানেন । ঈশ্বরার্থে যে পবিত্রতা তাহার পুষ্পের এই ভাব, কিন্তু নিশ্চিত জানিও যে তাহ হইতেই অন্তে অমৃত ফল উৎপন্ন হইয়া থাকে। ভগবান কহেন, আমার যে করে আশ, আমি করি তার সর্বনাশ, তবু যদি আমার না ছাড়ে আশ, আমি হই তার দাসের দাস । এক দিকে পরমেশ্বরের দাস্য-কৰ্ম্ম আর এক দিকে যশঃ ও ধনসম্পত্তির দাস্য-কৰ্ম্ম—একটি শ্রেয়ঃ, আর একটি প্রেয়ঃ এই দুইটি পথ মানবের সম্মুখে আছে। অামারদের স্বাধীনতাও আছে, যে পথে ইচ্ছা সেই পথে যাইতে পারি। ইন্দ্রিয়াধিপতি মনঃ মন্ত বারণ তুল্য কেবল বিষয়ারণ্যের পথেই বিচরণ করিতে চাহে, কিন্তু বিবেক দ্বারা তাহাকে দমন করিতে হইবেক এবং সেইরূপ দমন করিবার নিমিত্তেও আমারদের ভগবদত্ত স্বাধীনতা আছে। অতএব আমরা যদি শ্রেয়োভিলাষী হই, আর যত্ন করি তবে অবশ্যই ইন্দ্রিয়-দমন ও মন-সংযমন করত এবং ক্রমে বিবেক ও বৈরাগ্য আশ্রয় পূর্বক পরম পিতার সেবায় পূর্ণ অধিকার পাইতে পারি। এমন মহদধিকার —এমন অমৃত ফল হইতে বঞ্চিত হওয়া অত্যন্ত আক্ষেপের বিষয়। এ নিমিত্তে সতর্ক হওয়া উচিত যেন আমরা বিষয়ের