পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ । সমুদ্রোথিত জলদজাল পৰ্ব্বত শেখরে বধিত হইয়। নদীরূপে পুনৰ্ব্বার যেমন সাগরে প্রবাহিত হয় এবং সেই সকল নদীস্রোত পাৰ্ব্বতীয় রাজ্য হইতে উৎপাদা-মৃত্তিক আনিয়া পথিমধ্যে যেমন নানা দেশকে উর্বর্বরা করিয়া যায়, সেইরূপ মানবের আশা-অশ্র-ঘন ও প্রীতির বাস্পরাশি এই ভবসমুদ্র হইতে উত্থিত হইয়া আনন্দ-জলধারাতে স্বর্গ শেখরস্থিত প্রাণ-সখার চরণ-কমলকে ধৌত করে এবং সেই শ্ৰীচরণশ্লেীত প্রেম-বারি-ধারা মন্দাকিনী স্বরূপে নরলোকে প্রবাহিত হইয় তাহার প্রত্যেক বিভাগকে উর্বর করত পুনরায় ভবসাগরসমাগম লাভ করে। যখন মানবের তত্ত্বজ্ঞান ও সাত্ত্বিকী প্রীতি এই প্রকারে ভগবানের পূজা করিয়া ভগবৎপ্রিয়কাৰ্য্য সাধনাৰ্থে পুনরায় সংসারে প্রবাহিত হয়, তখনই অধঃস্থায়ী এই ধরাধামে প্রকৃত ধৰ্ম্ম উদ্ভাবিত হইয়া ধরণীকে স্বৰ্গ-তুল্য করে । যখন নরের বিষয়োম্মুক্ত একনিষ্ঠ প্রীতি পরা বিদ্যার যোগে ঈশ্বরের প্রেমে অভিষিক্ত হইয়া এইরূপে ধরারাজাকে উর্বর!