পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38२ বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি। কর্তব্যানুষ্ঠান ও জীবনব্রত উজ্জাপনানন্তর সেই পিতৃ-নিকেতনে যাইবার অভিলাষী হন তখনই প্রকৃত পূজা ও প্রকৃত ধৰ্ম্মের আচরণ হয়। ধৰ্ম্ম অতি উদার আনন্দকর ও অচিন্তনীয় পদার্থ। জ্ঞান প্রীতি ও সদনুষ্ঠান তিনই ধৰ্ম্মের অঙ্গ। জ্ঞানী, ভক্ত ও কৰ্ম্মী সকলের পক্ষে ধৰ্ম্ম মধুস্বরূপ । “ধৰ্ম্মঃ সৰ্ব্বেষাং ভূতানাং মধু।” সকল জ্ঞান, সকল আচরণ ও সকল ভূতের মধ্যে ধৰ্ম্ম প্রাণস্বরূপ। জ্যোতিষ, ভূতত্ত্ব, দেহতত্ত্ব, আত্মতত্ত্ব, পদার্থবিজ্ঞান প্রভৃতি সৰ্ব্বপ্রকার জ্ঞানের সার জ্ঞান, মূল জ্ঞান ও চুড়ান্ত জ্ঞান কেবল ধৰ্ম্মজ্ঞান । অপত্যস্নেহ, পিতৃমাতৃভক্তি, ভ্রাতৃপ্রেম, বনিতানুরাগ, মিত্রতা, আদর, সম্ভাষণ, সম্মান, বিনয়, শিষ্টতা, প্রণাম, নমস্কার এই যত প্রকার সুরভি কুসুম নরের গার্হস্থ্য ও সামাজিক উদ্যানে বিকশিত হয়, ধৰ্ম্মই তাহার মকরন্দ স্বরূপ । মেঘের স্বরাগ-রঞ্জিত কান্তিচ্ছটা, চন্দ্ৰ-সূৰ্য্য-তারকামণ্ডলীর জ্যোতির ঘট, বন উপবন গিরি নদীর মনোহর দৃশ্য এ সকল দর্শনে হৃদয়ে যে আনন্দের উদয় হয় ধৰ্ম্মই তাহার সার ভাগ। স্বগাথক বিহঙ্গদলের স্বমধুর সঙ্গীত-রস যে কর্ণকে পরিতৃপ্ত করে তাহার সার অংশই ধৰ্ম্মণ সুরভি কুসুমের গন্ধে, স্থমিষ্ট ফলের আস্বাদনে, শীতল বায়ুর স্পর্শনে যে আনন্দানুভূত হয় তাহার সারগ্রহণ ধৰ্ম্মানন্দ । পূর্বকাল হইতে সংসার-ধৰ্ম্মে যত সদনুষ্ঠান হইয়াছে তাহার সার ভাগই ধৰ্ম্ম। অতি পূর্বকালের যাগ যজ্ঞে, মধ্যকালের ব্রহ্মোপাসনায়, ইদানীর উপাসনা-প্রণালীতে,শ্রাদ্ধে, তীর্থযাত্রায়, ব্রত-অনশনে ও দেবালয়ে সৰ্ব্বত্রেই ধৰ্ম্ম প্রাণস্বরূপে বর্তমান থাকিয়া আসিয়াছেন। ২। ধৰ্ম্মরূপ কল্প-মহীরুহ-তলে আমারদের নিবাস—