পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՖՅՆ, বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি । ও মনোরাজ্যের প্রত্যেক বিভাগকে মহাতেজে জীবন্ত ও আলোকাকীর্ণ করিয়াছে। । o ৪। ভক্তিই মূল, জ্ঞানই মূল, সদনুষ্ঠানই মূল। যদিও ব্ৰহ্মজ্ঞান ও ব্রহ্মানুষ্ঠান পরিশুদ্ধরূপে সৰ্ব্বত্রে বিরাজ না করুক, কিন্তু ভক্তি, প্রেম ও ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস চতুদিকেই দেখা যাইতেছে। দুর্গোৎসব, ও বিগ্রহসেবা প্রভৃতি ভারতীয় উৎসবে ও পূজা-অৰ্চনায় কত উৎসাহ ও হৃদয়ব্যাকুলতা দৃষ্ট হইতেছে। গন্ধ, চন্দন, ধূপ, ধূনা, দান, হোম, মন্ত্রপাঠ ভক্তিভাবে মাখা । গঙ্গাতীরে যোগ-সময়ে সহস্ৰ সহস্ৰ লোকের অবগাহন ও স্তোত্র-পাঠে আশ্চর্য্য ভক্তির চিহ্ন দেখা যায়। মুসলমানদিগের বক্ষে করাঘাত ও উচ্চৈঃস্বরবিশিষ্ট ঈশ্বরীরাধনার মধ্যে ভক্তিরই ভাব লক্ষিত হয়। খৃষ্টিয়ানগণের প্রার্থনা, বন্দনা ও কঠোর প্রচারব্রতের মধ্যে ভক্তিরই ভাব দৃষ্ট হয়। এই সকল দেখিয়া শুনিয়া হৃদয় আনন্দে নৃত্য করিতে থাকে। জ্ঞান হয় জগতের লোকেরা যেন পিতৃহারা মাতৃহারা হইয়া চতুর্দিকে কান্দিতেছে। পাপ হইতে মুক্ত হইবার জন্য এবং ধৰ্ম্মের ভাবদ্বারা হৃদয়কে অভিষিক্ত করিবার নিমিত্তে চারিদিকে প্রায়শ্চিত্ত আচরিত হইতেছে। খৃষ্টিয়ান সম্প্রদায় ঈশা পয়গম্বরের নামোচ্চারণপূর্বক প্রায়শ্চিত্ত করিতেছেন। মুসলমানের কোরাণ ও কলম পাঠ এবং “তোবা” উচ্চারণ পূর্বক প্রায়শ্চিত্তের যাচক হইতেছেন। হিন্দুগণ কড়ি, বস্ত্র, ভোজনপাত্র, জলপাত্র, তণ্ডুলাদি সম্বলিত ভোজ্যদ্রব্য, ফল, মিষ্টান্ন, স্বর্ণ, রৌপ্য, গাভী প্রভৃতি উৎসর্গ করিতেছেন। অনেক নরাধম পাপা তাহা না করিতে পারিয়া নেত্র-সলিলদ্বারা আপন আপন পাপ প্রক্ষালনের যত্ন করিতেছে ।