পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম প্রকরণ } פי স্বরূপের ধৰ্ম্মে আমারদের হৃদয় ও মনকে মোহিত করে তাহার সে স্বরূপের সাধারণ আবির্ভাব ব্যতীত তাহার অস্তিত্বই বুঝ৷ যাইত না । অতএব তাহার স্বরূপের সেই সাধারণ আবির্ভাবই তাহা যাহাকে আমরা তাহার অস্তিত্ব বলি । আমরা সাধারণ জ্ঞানে ঐ অস্তিত্ব অনুভব করি ; কিন্তু বিশেষ জ্ঞান ব্যতীত আর উদ্ধে উঠতে পারি না। ফলে যিনি ঈশ্বরের অস্তিত্ব অনুভব করেন নাই—অর্থাৎ সেই পরম পুরুষের অস্তিত্ব অনুভব করিবার ক্ষমতাস্বরূপ সাধারণ জ্ঞান বাহার নিদ্রিত তিনি বিশেষ জ্ঞান কোথা হইতে পাইবেন ? তাহার অস্তিত্বের জ্ঞানই আমারদিগকে ক্রমে ক্রমে র্তাহার স্বরূপের জ্ঞানে লইয়। যায়—জানিতে জানিতে যখন আমরা বুঝিতে পারি তাহাকে আর জানা যায় না, তখনই আমরা তাহাকে জানিতে পারি— তাহাকে সম্ভোগ করিতে করিতে যখন আমরা বুঝিতে পারি, তাহাকে সম্ভোগ করিয়া শেষ করিতে পারিনা, তখনই আমরা তাহাকে বুঝিতে পারি—সেই আনন্দ উপভোগে যখন সীমা থাকেনা—যখন তাহার মধ্যে—সেই গভীর সুধার্ণবের মধ্যে, আমরা বাক্য আর মনকে ভুলিয়। গিয়। নিমগ্ন থাকি, তখনই আমরা সেই ত্রিভুবন-বিজয়ী পরম পদ লাভ করিতে পারি । ৪ । মানব যখন সাধারণ-জ্ঞানে ঈশ্বরের অস্তিত্ব অনুভব করেন তখন অনুসন্ধানাত্মিকা বুদ্ধি আসিয়া সেই অস্তিত্বভেদ করিয়া ব্রহ্মস্বরূপকে তন্ন তন্ন করিয়া বুঝিতে যায়। ব্রহ্মস্বরূপ অবিভাজ্য এবং রূঢ়, তথাপি ঐ বুদ্ধি একবার চেষ্টা করিয়৷ দেখে তাহাকে বিভাগ করিয়া বুঝা যায় কি না । মানবের স্বভাব এই যে, যে কোন তত্ত্ব তিনি সাধারণ জ্ঞানে একেবারে পূর্ণভাবে না পান, তিনি তাহাকে খণ্ড খণ্ড করিয়া বিভাগ