পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম । ኔ8ፃ চতুর্দিকেই পরমেশ্বরের নামধ্বনি শুনা যাইতেছে। কোন স্থানে “মামা” শব্দ আকাশ পূর্ণ ও কর্ণ বধির করিতেছে—কোন স্থানে “শিব শিব হর হর” শব্দ চতুর্দিকে ধৰ্ম্মরাগ বিস্তার করিতেছে। অতএব ভক্তিই মূল । ৫ । ভক্তিরূপ স্বগীয় লতা যখন জ্ঞানরূপ স্বৰ্গীয় বৃক্ষকে আলিঙ্গন করে তখনই ধৰ্ম্ম সৰ্ব্বাবয়বে পূর্ণ হয়। ভক্তি প্রকৃতিস্বরূপিণী, জ্ঞান পুরুষস্বরূপ। আরণ্যকের ঋষিগণের উপনিষৎ ও ব্যাস-বিরচিত মীমাংসাকাণ্ড পাঠ কর—সেখানে জ্ঞান ও ভক্তি যেন এক । ব্ৰহ্মজ্ঞানীরা ঐ দুইয়ের যোগকে ব্ৰহ্মজ্ঞান বলেন। বৈষ্ণবেরা ঐ দুইয়ের যোগকে প্রেম বলেন। যোগীরা ঐ দুইয়ের যোগকে যোগানন্দ বলেন। কৰ্ম্মীরা উহাকে ধৰ্ম্ম বলেন। ভাগ্যবানেরা উহাকে লক্ষী বলেন এবং হতভাগ্য ব্যক্তিরা উহারই গন্ধে উন্মত্ত হইয়া কস্তুরিকানাভ হরিণীর ন্যায় স্বীয় নাভিকুগুস্থিত মৃগমদ ত্যজিয়া বিষয়ারণ্যে উহার অন্বেষণ করিয়া থাকে। উহাকে ভক্তিই বল, প্রেমই বল, জ্ঞানই বল, আর ধৰ্ম্মই বল, আর যাহাই বল উহা আদিকাল হইতে মানববংশকে উন্মত্ত করিয়া রাখিয়াছে। যে দিন মানব ঈশ্বরকর্তৃক এই সংসারে প্রেরিত হইয়াছেন সেই দিনই ঈশ্বর ঐ পরমধৰ্ম্মের বীজ মানবের হৃদয়ে নিহিত করিয়া দিয়াছেন। সেই অক্ষয় শস্যের বীজ এই পৃথিবীতে বপিত হইলে কেবল যে, এখানকার নিমিত্তেই জীবিকা লাভ হয় এমত নহে, কিন্তু তাহার শস্যসকল দেহান্তে মানবের সঙ্গে সঙ্গে গিয়া পরলোকের নিমিত্তে অক্ষয় সম্বল হইয়া থাকে। ৫ । ধন্য পরমেশ্বরের দান যাহা স্বৰ্গ মৰ্ত্ত এক করিয়াছে। যাহ অসভ্য বর্বর হইতে সুসভ্য পণ্ডিত পৰ্য্যন্ত—দীন হীন