পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እ¢8 বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি। করেন ; রামমোহন রায়ের প্রসাদে, সেই মহাবিদ্যা আমাদের গৃহমালঞ্চকে আলো করিয়াছে। * ২। মহাত্মা রামমোহন রায় ভারতীয় শাস্ত্র হইতেই উপকরণ লইয়া ব্রাহ্মসমাজকে গঠন করিয়াছিলেন। র্তাহার সময় হইতে বর্তমান কাল পর্য্যন্ত ব্রাহ্মসমাজের বাছ অবয়ব যতই পরিবর্তিত হউক, কিন্তু শাস্ত্রীয় উপকরণ সকল তাহার অন্তঃসার হইয়া আছে। - ৩। ব্রাহ্মধৰ্ম্ম অতি উদার ধৰ্ম্ম । কোন প্রকার ক্ষুদ্রতা, বাধা, বিঘ্ন, অনুরোধ, উপরোধ তাহাতে স্থান পায় না । ইহার সম্মুখে শাস্ত্রের আধিপত্য নাই, তর্কের আধিপত্য নাই, অলৌকিক বিশ্বাসের আধিপত্য নাই, দেবগণের আধিপত্য নাই এবং জাতির আধিপত্য নাই। ইহার মতে আত্মপ্রত্যয়ই ব্ৰহ্মজ্ঞানের মূল ভূমি, ব্রহ্মে প্রীতিও তাহার প্রিয়কাৰ্য্য সাধনই র্তাহার উপাসনা, এবং তিনি স্বয়ং মুক্তি ও গতিস্বরূপ । ব্রাহ্মধৰ্ম্মের মতে মৃত্যুর পর পরলোক আছে এবং সত্য, দয়া, ন্যায়পরতা, প্রেম, সৌহার্দ্য, সরলতা প্রভৃতি অনেক প্রকার মণিরত্ব উহার নীতির ভাণ্ডারে প্রাপ্ত হওঁয়া যায়।

  • ৪ । কিন্তু কেহ যেন এমত মনে না করেন যে, ব্রাহ্মধৰ্ম্মের ঐ সকল মত শাস্ত্র ছাড়া অথবা বিজাতীয়-ভাবাত্রান্ত কতিপয় ব্রাহ্মের স্বকপোলকল্পিত ।

৫ । ব্রাহ্মধৰ্ম্মের নিকটে যেমন শাস্ত্রের আধিপত্য নাই, জ্ঞানকাণ্ডীয় বেদেতেও সেইরূপ শাস্ত্র অগ্রাহ্য হইয়াছে । “অপর ঋগ্বেদে যজুৰ্ব্বেদঃ সামবেদোহথর্ববেদঃ শিক্ষা কল্পে ব্যাকরণং নিরুক্তং ছন্দোজ্যোতিষমিতি অর্থ পরা যয়াতদক্ষরমধিগম্যতে |”