পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপনিষৎ প্রভৃতির সহিত ব্রাহ্মধৰ্ম্মের সম্বন্ধ। እ¢¢ ঋগ্বেদ, যজুৰ্ব্বেদ, সামবেদ, অথর্ববেদ, বেদাঙ্গ প্রভৃতি অশ্রেষ্ঠ বিদ্যা । যাহা দ্বারা ব্ৰহ্মজ্ঞান হয় তাহাই শ্রেষ্ঠ বিদ্যা। শ্ৰীমান শঙ্করাচাৰ্য্য স্বীয় বেদান্তভাষ্যে লিথিয়াছেন যে, “ব্ৰহ্ম-জিজ্ঞাসায় শ্রীতিমাত্র অপেক্ষিত নহে” অনুভবের প্রয়োজন। ব্রহ্মজিজ্ঞাসায় শাস্ত্রের দাস হইতে হয় না। ৬ । অতএব ব্রাহ্মসমাজে যে শাস্ত্রের আধিপত্য নাই তাহা অশাস্ত্রীয় নহে। পূর্বকালের ব্রহ্মবাদীরা যেমন জ্ঞানকে আদর করিয়৷ যজ্ঞাদি কৰ্ম্মকে অনাদর করিতেন, এখন ব্রাহ্মসমাজে সেই ভাবেরই প্রবলতা দেখা যাইতেছে । সুতরাং ব্রাহ্মধৰ্ম্মে যজ্ঞাদি ক্রিয়া কৰ্ম্মেরও আধিপত্য নাই । ৭ । ব্রাহ্মধৰ্ম্মের মধ্যে একদিকে যেমন তর্কের আধিপত্য নাই, অন্যদিকে সেইরূপ অলৌকিক অন্ধ বিশ্বাসেরও প্রাদুর্ভাব নাই। কঠ-শ্রুতিতে আছে “নৈষাতর্কেণ মতিরাপনেয়া” পরমেশ্বরেতে যে মতি তাহা তর্কেতে প্রাপণীয় নহে । এবং শঙ্করাচার্য্য কহিয়াছেন যে, অলৌকিক ফলশ্রুতিতে লোকে যেমন অন্ধবিশ্বাস করে ব্রহ্মজিজ্ঞাসায়সেরূপ অন্ধবিশ্বাস প্রয়োজনীয় নহে। কিন্তু আত্মপ্রত্যয়মূলক অনুভব, যুক্তি ও বিচারের প্রয়োজন । ৮। ব্রাহ্মধৰ্ম্মের মধ্যে দেবগণের আধিপত্য নাই। শাস্ত্রেই আছে যে,ব্রহ্মের সত্তাকে অবলম্বন করিয়া সমস্ত দেবতা কল্পিত হইয়াছে। “এবংগুণানুসারেণ রূপাণি বিবিধানিচ । কল্পিতানি হিতার্থায় ভক্তানামল্লমেধসাং ॥” অতএব ব্রহ্ম-জিজ্ঞাসায় কেবল ব্ৰহ্মই পূজনীয়। ব্রহ্মজ্ঞান জন্মিলে দেবতাদের স্বতন্ত্র দেবত্ব থাকে না ।