পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি । করেন এবং এক এক অংশের তত্ত্ব স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র গ্রহণ করেন । মানব, যে সাধারণ জ্ঞানে অখণ্ডরুপে সাধারণ ব্রহ্মস্বরূপ-সম্বলিত সম্পূর্ণ ব্রহ্মসভার অনুভব করেন সেই সাধারণ জ্ঞানই ঈশ্বরের অস্তিত্ব বোধের ও ঐরূপ বুদ্ধির কার্য্যের মূলভূমি—সে জ্ঞান আত্মপ্রত্যয়ে পরিপূর্ণ। কিন্তু বুদ্ধির অধিকারে মনুষ্য নিশ্চিন্ত থাকিবার নহেন। বুদ্ধি নিয়ত শ্ৰুতি-পাঠ, দর্শন-পাঠ, চিন্তা ও যুক্তি করিয়া অখণ্ড-রস-স্বরূপ ব্রহ্ম-স্বরূপকে খণ্ড খণ্ড করে এবং একে একে অংশ-জ্ঞান প্রদান দ্বারা সাধারণ জ্ঞানকে প্রশস্ত, উদার ও স্থধাময় করিতে থাকে ; বস্তুতঃ বুদ্ধি পূৰ্ণব্ৰহ্মস্বরূপকে কখনই বুঝিয়। শেষ করিতে পারে না। তাহার কার্য্যের অন্ত নাই, চাঞ্চল্যের পরিহার নাই। সে যদি সাধারণ জ্ঞানের কোমাগারে প্রজার ন্যায় কর-স্বরূপ ব্ৰহ্মতত্ত্ব প্রদান না করে তবে সে ব্রহ্মস্বরূপ অন্বেষণ করিতে গিয়! আপনি ব্রহ্মসভা হইতে ভ্ৰষ্ট হয় এবং একেবারে কুতর্ক ও নাস্তীতি বাদ-সাগরে পতিত হইয়া যায়। আর যদি সেই সাধারণ জ্ঞানকে রাজার ন্যায় জ্ঞান করিয়া আপনার উপাজ্জিত ব্ৰহ্মজ্ঞানকে করম্বরূপে সেই রাজার কোষাগারে প্রেরণ করে তবে তাহা কর্তৃক ঈশ্বরের অস্তিত্ব-জ্ঞান বিচলিত না হইয়। বরং উত্তরোত্তর অধিকাধিক স্বরূপ-জ্ঞানের সহযোগে সমুজ্জ্বলিত হইতে থাকে। তাদৃশ অবস্থাপন্ন বুদ্ধিই শুভ বুদ্ধি শব্দের বাচ্য। শুভ-বুদ্ধি যখন দেখে যে, সে যতই আহরণ করে সে সকলি গিয়া সাধারণ জ্ঞানের প্রত্যয়ে সংযুক্ত হয়, তখন সে স্বয়ং সকল অন্বেষণের অন্তে গিয়া আপনিও সেই প্রত্যয়ে পরিণত হইয়া যায় এবং আপনার নাম ও অহঙ্কার পরিত্যাগ করে। সেই অবস্থায় সাধারণ জ্ঞানও যখন দেখে যে, পূর্বাপেক্ষ