পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপনিষৎ প্রভৃতির সহিত ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের সম্বন্ধ। ›¢ሞ সম্মত। ফলে অনেক অদূরদর্শী ব্রাহ্ম মনে করেন যে, ব্রাহ্মসমাজ বুঝি ঐ ভাবটি খৃষ্টানদিগের নিকট হইতে পাইয়াছেন। তাহাই মনে করিয়া তাহারা যৌবন-স্থলভ-মত্ততা-সহকারে স্বেচ্ছাচার-পরায়ণ হইয়াছেন। কিন্তু ব্রাহ্মধৰ্ম্ম সম্পূর্ণরূপে স্বেচ্ছাচারের প্রতিকূল । ১১। ব্রাহ্মধৰ্ম্মের মতে আত্ম-প্রত্যয়ই ব্ৰহ্মজ্ঞানের মূল ভূমি। এই ভাবটিও ইওরোপ অথবা এমেরিকার প্রেরিত নহে। র্তাহারদের মধ্যে ঐরুপ ভাব থাকিতে পারে এবং তাহাই অবলম্বন করিয়া ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজের আচাৰ্য্য ভক্তিভাজন শ্ৰীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেন অনেক শাস্ত্রানভিজ্ঞ যুবাকে ব্রাহ্মধৰ্ম্মে আকর্ষণ করিয়াছেন, কিন্তু ঐ স্বৰ্গীয় ভাবটি আর্য্যশাস্ত্রেরই মস্থিত স্থধা । যাহার শ্রদ্ধা সহকারে আর্য্যশাস্ত্র না দেখিয়া কেবল ইংরাজিই পড়িয়াছেন তাহারাই মনে করেন যে, ইওরোপ ও এমেরিকার ধৰ্ম্মতত্ত্ববিদেরা ব্রাহ্মধৰ্ম্মের ঐ পত্তন-ভূমি নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছেন। ১২। ব্রাহ্মধৰ্ম্মের মতে উপাসনার জন্য দেশ কালের নিয়ম নাই। ইহাও অশাস্ত্রীয় নহে। মহর্ষি ব্যাস সৰ্ব্ববেদ মন্থন পূর্বক এই সাররত্ন উদ্ধার করিয়াছেন “যত্রৈকাগ্রত তত্ৰাবিশেষাৎ” যে স্থানে মনের একাগ্রতা হইবে সেইখানেই উপাসনা করিবেক। মুসলমানগণ যেমন সময়ে বদ্ধ, কৰ্ম্মীর যেমন সময় এবং কৰ্ম্মকাণ্ডীয় নানা নিয়মে বদ্ধ, ব্রাহ্মগণ সেরূপ কোন নিয়মেই বদ্ধ নহেন । ফলতঃ বিষয়াসক্ত বিভ্রান্তচিত্ত এমত অনেক ব্রাহ্ম রহিয়াছেন যাহারা এই কথা দ্বারা প্রশ্রয় পাইয়া ভগবানের নামও করেন মা । তাঁহাদের ব্রাহ্মনাম লওয়া বিড়ম্বন মাত্র । তাহা অপেক্ষা নিয়মিত