পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እPbም বস্তৃতাকুস্থমাঞ্জলি। ত্রিসন্ধ্যাকারী কৰ্ম্মী এবং পঞ্চকাল-ভজনকারী মুসলমান আমাদের অধিক শ্রদ্ধার পাত্র । 彈 ১৩। ব্রাহ্মধৰ্ম্ম শুষ্কজান অথবা কেবল পাণ্ডিত্যের ধৰ্ম্ম নহে। উহা জ্ঞান ও প্রেম এই উভয়-মিলিত পন্থা । এ ভাবটিও বিজাতীয় নহে। ঐ ভাবই ভারত শাস্ত্রের এবং আর্য্যধৰ্ম্মের স্থদূঢ় ও সুঠাম কলেবর নিৰ্ম্মাণ করিয়াছে। “তদেতৎ প্রিয়ং পুত্রাৎ” পরমেশ্বর পুত্র অপেক্ষাও প্রিয় একথা ভারত-শাস্ত্রের অমূল্য নিধি। “তংহ দেবমাত্মবুদ্ধিপ্রকাশং” সেই দেবতা আমাদিগের আত্মবুদ্ধি প্রকাশ করিতেছেন এই বচন ভারতীয় জ্ঞানের আলোকস্বরূপ এবং “দৃশুতেত্ত্বগ্র্যয়া বুদ্ধ্যা সূক্ষয় সূক্ষদর্শিভিঃ” “সূক্ষদর্শী ধীরেরা একনিষ্ঠ স্থমার্জিত বুদ্ধি দ্বারা সেই জ্ঞানস্বরূপ পরমেশ্বরকে দৃষ্টি করেন” এইরূপ বাক্যসকলই জ্ঞানযোগে উপাসনা করার ব্যবস্থা-স্বরূপ । বৈদান্তিক ব্ৰহ্মজ্ঞান প্রেমশূন্য নহে। মহর্ষি ব্যাসদেব সমস্ত বেদের এই সার সিদ্ধান্ত করিয়াছেন এবং শ্রীমান শঙ্করাচাৰ্য্য স্বীয় ভাষ্যে তাহা স্বীকার করিয়াছেন যে,— · “নসামান্যাদপুপলন্ধেঃ মৃত্যুবল্লহি লোকাপভিঃ।” সামান্য উপাসনায় মুক্তি হয় না—একাগ্রতার সহিত দৃঢ়তর উপাসনাই প্রয়োজন । “পরেণচ শব্দস্য তাম্বিধ্যৎ ভূয়ত্ত্বাত্ত্বনুবন্ধঃ ।” প্রীতি আর “তাদ্বিধাং” অর্থাৎ প্রীতির অনুকূল প্রিয়কাৰ্য্যই মুখ্য উপাসনা। “একাত্মনঃ শরীরেভাবাৎ’ আমাদের জীবাত্মা হইতে ঈশ্বর মুখ্য প্রিয় অতএব অতিস্নেহ দ্বারা র্তাহার উপাসনা করিবেক। গীতাতে আছে—