পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপনিষৎ প্রভৃতির সহিত ব্রাহ্মধৰ্ম্মের সম্বন্ধ । እ¢፭ “জ্ঞানাগ্নিঃ সৰ্ব্বকৰ্ম্মাণি ভস্মসাৎ কুরুতে” ব্ৰহ্মজ্ঞানস্বরূপ অগ্নি দ্বারা শ্রেীত, স্মাৰ্ত্ত, তান্ত্রিক প্রভৃতি সমুদয় কৰ্ম্ম ভস্মসাৎ হয়। সেই জ্ঞান লাভ করাও শ্রদ্ধার কৰ্ম্ম । ভগবান স্বয়ং জ্ঞানস্বরূপ। র্তাহার জ্ঞানলাভে সাধককে তৎপর দেখিলে তিনি আপনাকে সেই সাধকের সম্মুখে প্রকাশ করেন। তাঁহাতে র্তাহারই জ্ঞানালোকে সাধক তাহাকে দর্শন করেন। গীতাতে আছে— “তেষাং সততযুক্তানাং ভজতাং প্রীতিপূর্বকং, দদামি বুদ্ধিযোগং তং যেন মামুপযান্তি তে।” যে ব্যক্তি সতত যুক্ত থাকিয়া আমাকে প্রীতিপূর্বক ভজন করে, তাহাকে আমি সেই রূপ বুদ্ধিযোগ প্রদান করি যাহার দ্বারা সে আমাকে লাভ করিতে পারে। এতাবতা, শাস্ত্রীয় ব্ৰহ্মজ্ঞান জ্ঞান প্রীতি উভয় মিলিত। তাহাই ব্রাহ্ম সমাজ অবলম্বন করিয়াছেন । ১৪। ব্রাহ্মধৰ্ম্ম বলেন যে, ব্রহ্মই গতি ব্ৰহ্মই মুক্তি। ব্ৰহ্মকে স্বতন্ত্র রাখিয়া তাহার নিকট হইতে লাভ করা যায়, মুক্তি এমত কোন প্রকার পদার্থ নহে। মুক্তিতে স্বার্থ নাই। পরমেশ্বরকে লাভ করাই মুক্তি। ব্রাহ্মধৰ্ম্মের এই মহোচ্চভাব বিজাতীয় বাণিজ্যের ফল নহে। উহা এই দেশেরই শাস্ত্রের বাণী । ব্যাসকৃত অক্ষয় বেদান্ত-হারে অন্যান্য রত্বের মধ্যে এবিষয়ে এই উজ্জ্বল মণিটি দৃষ্ট হয়,— “অবিভাগেন দৃষ্টত্বাৎ ” “তস্মাৎ মুক্তস্বরূপং ব্রহ্মাভিন্নং।” মুক্তি অভিন্নরূপে ব্রহ্মের স্বরূপ। তবে যে,কখন কখন স্বাৰ্থৰ্বশে আমরা ভেদ করিয়া বুঝি সে ঔপচারিক ভেদমাত্র। মুক্তির এমন মনোহর তাৎপৰ্য্য আর কোন দেশের শাস্ত্রে আছে ?