পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ֆց* বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি | ব্রাহ্ম-সমাজ তাহা এই দেশের শাস্ত্র হইতেই গ্রহণ করিয়াছেন। শাস্ত্রের তাৎপৰ্য্য এই ষে, মুক্ত হইলেও ব্রহ্মোপাসনা ক্ষান্ত হয় না বরং তাহ পূর্বাপেক্ষ তখন উৎ কৃষ্টতররূপে সম্পন্ন হয়। ব্ৰহ্মলাভই মুক্তি—স্থতরাং ভঁাহাকে সম্মুখে পাইলে তাহার উপাসনার আধিক্য হয়। বেদান্তসূত্রে আছে “আশ্রয়াণাৎ তত্ৰাপিহি দৃষ্টং” “মুক্তাঅপিছেনমুপাসতে” মুক্ত হইলেও উপাসনা করিবেক । এই মহোচ্চভাবটি শাস্ত্রহইতেই ব্রাহ্ম-সমাজ পাইয়াছেন। ব্রাহ্মসমাজ বলেন যে, আত্মা মুক্ত হইলেও লোক লোকান্তরে যাইয়া তাহার উপাসনা করিতে থাকিবেক । ১৫। এতাবতা, আর্য্যধৰ্ম্মই ব্রাহ্মধৰ্ম্মের অন্তঃসার । মহাত্মা রামমোহন রায় ব্রাহ্মসমাজ-প্রতিষ্ঠা দ্বারা তাহাই স্থাপন করিয়া গিয়াছেন। বর্তমান ব্রাহ্মেরা অনেকেই শাস্ত্রের কেবল ব্যবহারিক ভাব মাত্র লইয়াছেন, কিন্তু তাহার গভীরতম পারমার্থিক ভাব সকল এখনও লাভ করিতে পারেন নাই । আমরা ভবতারণের নিকট প্রার্থনা করি যেন এই প্রকারের শাস্ত্রীয়-ব্রহ্মজ্ঞান-প্রতিপাদক মহোৎসব সকল ভারত-রাজ্যের ৰিশিষ্ট বিশিষ্ট জনপদে অভু্যদিত হইয়া উত্তমাধিকারীগণকে ভারতীয় গভীর জ্ঞানসাগরে প্রবেশাধিকার দেয় এবং যেন সৰ্ব্বসাধারণের ব্রহ্মজ্ঞানাধিকার ক্রমে ক্রমে প্রশস্ত করে । এই উৎসব-ভূমি ব্রহ্মরূপ মনোভাবের দ্বারা নিৰ্ম্মিত। তিনি আমারদের মনস্কামনা সিদ্ধি করিয়া এই সভার কুটস্থ পদে উপবিষ্ট আছেন। আমরা এই শুভক্ষণে র্তাহার পাদপদ্মে কোটি কোটি নমস্কার করি ইতি । - =ക്കു