পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○"8 বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি । ১১। ব্ৰহ্মনামরূপ স্পর্শমণি ভারতের তাবৎ শাস্ত্রকে হেমবর্ণে স্থশোভিত করিয়াছে, ব্রহ্মনামই ভারতবর্ষে ব্রাহ্মণকুলকে উন্নত করিয়াছিল, আবার সেই নামের অভাব” এখন ব্রাহ্মণ বর্ণকে শূদ্রান্ত করিয়া রাখিয়াছে। বন্ধুগণ ! সেই পরশরতনকে অবজ্ঞা করিওনা। র্তাহার চরণস্পর্শ করিয়া এই পরিবর্তনশীল জীবনকে অক্ষয় করিয়া লও। ১২ । এই ভারতবর্ষে আমারদের আর কিছুই নাই, কেবল আমারদের শাস্ত্রের গৌরব ব্রহ্মনাম জাগ্রত রহিয়াছে। শাস্ত্রকে আদর করিয়া ব্ৰহ্মনাম লাভ কর এবং ব্রহ্মনাম হৃদয়ে ধরিয়া শাস্ত্রকে সম্মান প্রদান কর । ১৩ । যেমন নয়নের নিমেষ ফেলিতে ফেলিতে এই এক বৎসর চলিয়া গেল, হয় ত এমনি নিমেষ মাত্রে জীবন চলিয়া যাইবে । জীবনের সারধন সেই অমূল্য রত্নকে এই বেল। উপার্জনপূর্বক হৃদয়ে রাখিয়া দেও ৷ হৃদয়ের জ্যোতিকে হৃদয় হইতে বিসর্জন করিয়া অন্ধ হইয়া থাকিওনা । ১৪। সেই ব্রহ্মনাম একবর্ষান্তে আমাদিগকে এই যজ্ঞপ্রাঙ্গণে আহবান করিয়াছে । সেই নামের সংস্পশে আজ কামাদের হৃদয় পবিত্র হইল। পবিত্ৰহৃদয়ে তাহাকে জনমের মত গ্রহণ কর । জীবন গেলেও সেই দরিদ্রের ধন অমূল্যমণিকে হৃদয়ে রক্ষা করিবে । র্তাহ অভাবে হৃদয় শ্মশানসদৃশ,সংসার মরুভূমি। তিনি দেবগণের শিরোভূষণ,আমারদের হৃদয়ের দীপ্তি যেন প্রমত্ত হইয়া সে ধনে বঞ্চিত হইও ন। ইতি ।