পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՖՆ Ն, বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি। র্তাহাদের যে আরাধনা তাহা অবিদ্যামাত্র। ঐ সকল দেবগণ স্বতন্ত্র দেবত নহেন, কিন্তু কেবল প্রকৃতির দীপ্তিমান আবির্ভাবস্বরূপ । কেবল ব্রহ্মের আবির্ভাবেই তাহাদিগের অভু্যদয় হইয়াছে। ব্রহ্মের আবির্ভাবেই তাহাদের জীবন। অতএব তাহাদিগকে অবলম্বন করিয়া যে যজ্ঞাদি কৰ্ম্ম কৃত হয় এবং বেদেতে র্তাহাদের পূজার যে ব্যবস্থা আছে তাহ ব্ৰহ্মপর–ব্রহ্মেরই পূজা। এই হেতু বেদ স্বয়ংই ইন্দ্রাদি দেবগণের স্বতন্ত্র দেবত্ব খণ্ডন করিয়া তাহীদের আবির্ভাবেতে ব্রহ্মেরই আবির্ভাব জ্ঞাপন করিলেন । ৩ । তৈক্তিরীয় শ্রুতিতে আছে ; “ক্ষেম ইতি বাচি ।” বাক্যেতে প্রতিষ্ঠিতভাবে ক্ষেমরূপে ব্রহ্মের উপাসন করিবেক । “যোগক্ষেমইতি প্রাণাপানয়েঃ” প্রাণাপানে প্রতিষ্ঠিতভাবে ক্ষেমরূপে ব্রহ্মের উপাসনা করিবেক । “কৰ্ম্মেতিহস্তয়োঃ” হস্তেতে কৰ্ম্মরূপে র্তাহার পূজা করিবে। “গতিরিতি পাদয়োঃ” র্তাহাকে পদের গতিশক্তিস্বরূপে উপাসনা করিবে। “বিমুক্তিরিতিপায়েী” পায়ুদেশে (অর্থাৎ মূলাধারে) র্তাহাকে বিমুক্তিরূপে প্রতিষ্ঠিতভাবে পূজা করিবে। “ইতি মানুষী সমাজ্ঞা” ইহাই মনুষ্যের আধ্যাত্মিক উপাসনা। “অৰ্থ দেবীঃ” অনন্তর দেবতাতে র্তাহার উপাসনা করিবেক । যথা “তৃপ্তিরিতি বৃক্টো, বলমিতি বিদ্যুতি, যশইতি পশুযু, জ্যোতিরিতি নক্ষত্রেযু, প্রজাতিরমুতমানন্দইত্যুপস্থে, সৰ্ব্বমিত্যাকাশে ।” - র্তাহাকে বৃষ্টিধারায় তৃপ্তিরূপে, বিদ্যুতে বলরূপে, পশুধনে যশঃরূপে, নক্ষত্রে জ্যোতি রূপে, শরীরে প্রজা, মুক্তি ও