পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম প্রকরণ । (t সে ব্রহ্মস্বরূপকে অধিক পরিমাণে উপার্জন করত র্তাহার অপেক্ষাকৃত বিশেষ জ্ঞানলাভ করিয়াছে তখন সে আপনার “সাধারণ জ্ঞান” এই নামটি ত্যাগপূর্বক “ব্রহ্মজ্ঞান” নাম গ্রহণ করে। সাধারণ জ্ঞান বা আত্মপ্রত্যয়ের সহিত শুভবুদ্ধির নিরূপিত ব্রহ্মস্বরূপের সঙ্গম-স্থানের নামই ব্রহ্মজ্ঞান ৷ ৫। অল্পজ্ঞানবিশিষ্ট মানব আপনার সুবিধার জন্য এক অখণ্ড শূন্যের উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম, উৰ্দ্ধ, অধঃ প্রভৃতি দিগ্‌ভাগ করিয়াছেন। অখণ্ড কালের মধ্যেও ভূত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ প্রভৃতি কাল নির্ণয় করিয়াছেন। কিন্তু বাস্তবিক দেশ ও কাল উভয়েই অখণ্ড এবং একমাত্র রূঢ় পদার্থ। শূন্যের উত্তর দক্ষিণাদি, কালের ভূত ভবিষ্যদাদি উহারদের স্ব স্ব প্রকৃত বিভাগ নহে। প্রকৃত প্রস্তাবে দিকের উত্তর দক্ষিণাদি এবং কালের ভূতাদি বিভাগ নাই। ও সমস্ত অামারদের সুবিধা-জনক আপেক্ষিক ভাব মাত্র। সেই রূপ পরমেশ্বর স্বরূপতঃ অনন্ত, অখণ্ড এবং একমাত্র রূঢ় পদার্থ। পার্থিব পদার্থের ন্যায় তাহাকে ভাঙ্গিয়া বিভাগ করা যায় না । তথাপি মানবের বুঝিবার সুবিধার জন্য বুদ্ধি তাহাকে নানা ভাগে বিভক্ত করিয়াছে। সত্যস্বরূপ, জ্ঞানস্বরূপ, অনন্তস্বরূপ, আনন্দস্বরূপ ইত্যাদি বিভাগে ব্রহ্মস্বরূপকে খণ্ড খণ্ড করিয়াছে। যদিও বুদ্ধি তাহাকে ঐ রূপে বিভাগ করে কিন্তু ঐ সব ভাগ আত্মপ্রত্যয়ে অর্থাৎ সাধারণ জ্ঞান-কোষে প্রবেশ মাত্রে ঈশ্বর-সভার বিশ্বাসের সহিত এক হইয়া যায়—তাহাতে পূর্ব প্রত্যয়িত ব্রহ্মসত্ত। উত্তরোত্তর ব্রহ্ম-স্বরূপের বিশেষ জ্ঞান-লাভে পুষ্ট হইয়া ইন্ধন প্রাপ্ত যজ্ঞাগ্নির ন্যায় অধিক জ্বলন্ত ভাবে প্রকাশ পায় । বুদ্ধি যদি অল্পে অল্পে ব্ৰহ্মজ্ঞান