পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রেীত ও স্মাৰ্ত্ত কৰ্ম্মের সহিত ব্ৰহ্মজ্ঞানের ঐক্যানৈক্য সম্বন্ধ। ১৬৭ আনন্দ রূপে এবং আকাশে সমস্ত বস্তুর প্রতিষ্ঠারূপে উপাসনা করিবেক । “সযশ্চায়ং পুরুষে” তিনিই প্রত্যেক জীবেতে। “যশ্বচাসাবাদিত্যে” তিনিই সূর্য্যেতে। “সএকঃ” তিনি একই। সৰ্ব্বত্রে তিনিই প্রাণস্বরূপে, সত্তারূপে, এবং প্রকাশরুপে বর্তমান আছেন। ৪ । তলবকার উপনিষদে আছে যে, “শ্রোত্রস্য শ্রোত্ৰং, মনসোমনোযদ্বাচোহ বাচং স উ প্রাণস্য প্রাণশ্চক্ষুষশ্চক্ষুরিতিমুচ্যধারাঃ প্রেত্যাম্মাল্লোকাদমৃতাভবন্তি ।” পরমেশ্বর শ্রোত্রের শ্রোত্র, মনের মন, বাক্যের বাক্য, প্রাণের প্রাণ এবং চক্ষুর চক্ষু। অর্থাৎ তাহার প্রকাশে ঐ সকল ইন্দ্রিয় প্রকাশ পাইতেছে। পাপকৰ্ম্ম সকলকে পরিত্যাগ করিয়া তাহাকে এইরূপে জানিলে ধীরের লোকান্তরে অমৃত হয়েন । ৫। অতএব বেদেতে ইন্দ্রাদি যত দেবগণের, প্রকৃতির যত প্রভাবের, মানবদেহের যত অঙ্গের উপাসনার নিদর্শন বা ব্যবস্থা আছে তাহা সকলই ব্রহ্মপর । ব্রহ্ম ভিন্ন কোন পরিমিত প্রাকৃতিক পদার্থের পূজা বেদের উদ্দেশ্য নহে। তবে লোকে ব্রহ্মজ্ঞান-বিহীন হইয়া, কেবল প্রথা ও ফলকামনাবশতঃ, অথবা নিয়মের বশীভূত বা অকরণজন্য প্রত্যবায় হইতে অব্যাহতি-লাভাশয়ে ঐ সকল দেবতাকে ব্ৰহ্ম হইতে স্বতন্ত্র জ্ঞানে পরিমিতভাবে পূজা করিতে পারে, তাহাতে বেদের দোষ হয় না । কিন্তু তাদৃশ ব্রহ্মবোধ-বিহীন ফলকামনা-বিশিষ্ট অন্ধ উপাসনা যে, ব্রহ্মের উপাসনা নহে তাহা বেদেতেই প্রকাশ করিয়াছেন। সূর্য্যের যিনি বরণীয়