পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি । יל 9יג স্বরূপ সূৰ্য্য-ধ্যান দ্বারা তাহারি উপাসনা করিবেক, কিন্তু সামান্য সূর্য্যের উপাসনা নহে। বাক্যের ও প্রাণের যিনি অধিষ্ঠাত্রী দেবতা অর্থাৎ ব্রহ্ম, বাক্য ও প্রাণের উপাম্বনাবিধিতে, তাহারই উপাসনার উদ্দেশ্য। সামান্য কণ্ঠনিঃস্থত বাণীর অথবা শরীরস্থ প্রাণবায়ু সকলের উপাসনা উদ্দেশ্য নহে। যদিও শাস্ত্রের এইরূপ মহৎ উদ্দেশ্য কিন্তু পূৰ্ব্বকাল হইতেই অনেক লোক ব্রহ্মবোধ-বিহীন হইয়া, দেবগণকে স্বতন্ত্র দেবতা-জ্ঞানে পূজা করিয়া আসিতেছেন। যেখানে ঐ প্রকার ব্রহ্মবোধ নাই, সেইখানেই উপাসনা ও কৰ্ম্মসকল ফলকামনা-বিশিষ্ট। কামনাই তথায় উদ্দেশ্য, ব্রহ্ম উদ্দেশ্য নহেন। সে সকল দেবতা তাদৃশ স্থলে প্রাণহীন। কেন না, উপাসক তাহাদের মধ্যে ব্রহ্মরূপ প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন নাই। সুতরাং বেদে কহিয়াছেন “যৎ প্রাণেন ন প্রাণিতি যেন প্রাণঃ প্রণীয়তে তদেব ব্ৰহ্ম ত্বং বিদ্ধি নেদং যদিদমুপাসতে।” শরীরস্থ প্রাণবায়ু যাহাকে গ্রহণ করিতে পারে না, কিন্তু সেই প্রাণের প্রাণস্বরূপ, তাহাকেই তুমি ব্ৰহ্ম করিয়া জানিবে, কিন্তু যে সকল প্রাণ-বায়ুকে লোকে ব্ৰহ্মজ্ঞান-শূন্য হইয়া “প্রাণায় স্বাহা, ব্যানায় স্বাহ, অপানায় স্বাহা’ ইত্যাদি মন্ত্রদ্বারা সামান্যতঃ পূজা করে তাহা কখনও ব্রহ্ম নহে। ৬ । অতএব শাস্ত্রের সিদ্ধান্ত এই যে, “সর্বে বেদাযৎপদমামনন্তি, তপাংসি সৰ্ব্বণি চ যদ্বদন্তি’ সকল বেদ সেই পূজনীয় ব্রহ্মকে কীৰ্ত্তন করে, সকল তপস্যা র্তাহাকেই ব্যক্ত করে। বেদেতে যত দেবতার পূজার বা যজ্ঞাদিকৰ্ম্মের নিদর্শন আছে সকলই ব্রহ্মপূজার অবলম্বন