পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sa- , বস্তৃতাকুস্থমাঞ্জলি । করে ঐরূপ ক্রিয়ার অতীত অন্য ঈশ্বর-তত্ত্ব প্রাপ্তব্য নাই । এই কারণে কামী পুরোহিতগণ আপাততঃ পুষ্পিত-বৃক্ষ-সদৃশ শোভমান ও শ্রীয়মান রমণীয় বাক্যের দ্বারা ঐ সকল অবিবেকী ব্যক্তিদিগকে উক্ত ক্রিয়া কৰ্ম্মের ফলশ্রুতির উপদেশ করেন। অতএব যাহারা কামনাতে আক্রান্ত, অনিত্যস্বৰ্গভোগ যাহাদের বোধে পরমপুরুষাৰ্থ, সেই সকল ব্যক্তি জন্ম-কৰ্ম্ম-ফলপ্রদ বাক্য সকল এবং ভোগ ও ঐশ্বৰ্য্য প্রাপ্তির উপায়স্বরূপে বাহুল্যক্রিয়ার উপদেশ করেন । ৮ উক্ত ভোগ ঐশ্বৰ্য্যে আসক্ত, এবং ঐরূপ পুষ্পিতবাক্যে আকৃষ্টচিত্ত ব্যক্তিদিগের সমাধি অসম্ভব। অর্থাৎ পরমেশ্বরেতে তাহীদের চিত্তের একাগ্রতারূপ নিশ্চয়াত্মিক বুদ্ধি হয় না। ৯ । আমরা সকলকে বিনয়পূর্বক শাস্ত্রানুসারে ব্রহ্মজ্ঞান ও ভগবদ্ভক্তি সাধনে অনুরোধ করিতেছি । ব্রহ্মজ্ঞান এবং ঈশ্বরভক্তি ভারতের চির-সম্পত্তি । ভারত-শাস্ত্র সকল ব্ৰহ্মজ্ঞানেতেই প্রতিষ্ঠিত আছে। ব্রহ্মজ্ঞান বিনা কোন শাস্ত্রের, কোন ক্রিয়ার, কোন নিয়মের শুভ অর্থ বোধগম্য হয় না । বেদত্ৰয়মস্থিত প্রণব ব্রহ্মজ্ঞান জ্ঞাপন করিতেছে; ভূলোক, ভুবলোক, স্বৰ্গলোক এই ত্রিলোক-প্রতিপাদিক ব্যাহৃতি ব্রহ্মজ্ঞানকে প্রকাশ করিতেছেন; বেদমাতা গায়ত্রী ব্রহ্মজ্ঞানকে কহিতেছেন। বেদ সকল, স্মৃতিশাস্ত্র সকল এবং তন্ত্ৰসকল সমস্ত ক্রিয়া, কৰ্ম্ম, পূজা, আর্চার সাররূপে ব্ৰহ্মজ্ঞানকে প্রচার করিয়াছেন ; এবং পুরাণ সকল ঐতিহাসিক প্রমাণ এবং নান৷ প্রকার আখ্যায়িকা দ্বারা ব্ৰহ্মজ্ঞানেরই সারত্ব ঘোষণা করিয়াছেন। অতএব হে তাত ও বন্ধুগণ আদ্যকার এই ব্রহ্ম-সংসতে ভারতীয় শাস্ত্র-রত্নাকর-মস্থিত, কুটস্থ ও তুরীয়-পদবাচ্য স্থধাসম ব্রহ্ম-বীজমন্ত্রের কবজ গ্রহণ করিয়া অভয় লাভ কর ইতি।