পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ग९१{T $8 দ্বারভাঙ্গা ব্রাহ্মসমাজ । রবিবার, ১৫ই চৈত্র ১৭৯৬ শক । জ্ঞানধৰ্ম্ম কখনই ভারতে ক্ষত্রধর্মের বাধক হয় নাই। ১। অনেকের সংস্কার এই যে, ভারতীয় শাস্ত্রে কেবল হোম, যাগ, ব্রহ্মজ্ঞান প্রভৃতির উপদেশ আছে এবং ভারতবাসীগণ কেবল সেই সকল ক্রিয়াতেই তৎপর। র্তাহার। না জানিয়া শুনিয়া মনে করেন যে, ঐ সব ক্রিয়াতে ভারতের অধিকাংশ লোক বহু দিন ধরিয়া রত থাকায় তাহারা কখন যুদ্ধে স্থদক্ষ হন নাই। কিন্তু ভারতের পূর্ব বিবরণ ও শাস্ত্রের যথার্থ তাৎপৰ্য্য আলোচনা না করাতেই ঐরুপ সন্দেহ উপস্থিত হইয়াছে। - ২। অনেকেই স্মরণ করিতে পারবেন যে, ইস্কৃাকু অবধি জন্মেজয় পর্য্যন্ত রাজগণের সময়ে যখন ধৰ্ম্ম ও ব্রহ্মজ্ঞানের অধিক আলোচনা ছিল বরং সেই সময়েই আর্য্যের সমরদৰ্পে চতুৰ্দ্দিকৃ কম্পিত করিয়াছিলেন। অশ্বমেধ, রাজসূয় প্রভৃতি যজ্ঞ কেবল যুদ্ধেতেই উৎসাহ প্রদান করিত। ইন্দ্রাগ্নি বায়ুবরুণের পূজা অধিকাংশতঃ যুদ্ধ-কামনাতেই অনুষ্ঠিত হইত। আর্য্যের সমর-পরাক্রম কামনা করিয়াই ব্ৰহ্মা বিষ্ণু প্রভৃতি দেবগণের দ্বারে হত্যা দিতেন। ইন্দ্রজিৎ যুদ্ধে জয়ী হইবার নিমিত্তেই নিকুম্ভিলা যজ্ঞ করিতেন এবং