পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানধৰ্ম্ম কখনই ভারতে ক্ষত্রধৰ্ম্মের বাধক হয় নাই। እግ¢ ৫। অনেকে মনে করিতে পারেন গীতাতে এমন অনেক স্থল আছে যাহা ব্রাহ্মধৰ্ম্মের বিরুদ্ধ। কিন্তু সেরূপ আশঙ্কা করিয়া পরমোপকারী গীতাকে ত্যাগ করা উচিত নহে। আত্মতত্ত্ব, যোগ ও ব্যবহার শিক্ষাদানে গীতাই সকল শাস্ত্রের ভাষ্যস্বরূপ। বেদান্ত ব্ৰহ্মজ্ঞানই শিক্ষা দিয়াছেন, জৈমিনি যাগ যজ্ঞেরই উপদেশ করিয়াছেন, সাংখ্য পুরুষ প্রকৃতিরই মুখোজ্জ্বল করিয়াছেন, ন্যায় বাকপটুতা শিখাইয়াছেন, পুরাণে পরমার্থ ও ব্যবহার মিশ্রিত আখ্যান প্রণয়ন করিয়াছেন, তন্ত্রে কুলাচার, বীরাচার ও সাধনা সম্বন্ধে নানা উপদেশ দিয়াছেন কিন্তু গীত ব্ৰহ্মজ্ঞানের সহিত ক্ষত্রধৰ্ম্মের আলিঙ্গন সম্পন্ন করিয়াছেন। বেদান্তের পরমার্থতত্ত্ব দ্বারাই যে ক্ষত্রধর্মের স্ফূৰ্ত্তি হয় তাহাই দৰ্শাইয়া গীতা ভারতগগণে পুরুষকাররূপ মহামিহির স্থাপন করিয়া গিয়াছেন। অজ্ঞান নষ্ট হইলে তাহার মর্য্যাদা বুঝা যাইবে । যাহাদের ঘরে এমন স্বগীয় দৰ্পণ রহিয়াছে র্তাহারা সন্দেহ-ভঞ্জনার্থ তাহাতে দৃষ্টি না করিয়া যে সহসা শাস্ত্রে ও শাস্ত্রানুমোদিত ক্রিয়াতে দোষারোপ করেন তাহা অতি দুঃখের বিষয়। ৬ । অনেকে মনে করিতে পারেন যে, আর্য্যেরা যদি কখন যুদ্ধ বিক্রম দর্শাইয়া থাকেন তাহা কেবল র্তাহাদের স্বদেশের মধ্যেই আবদ্ধ ছিল। অতএব তাহাদের সে বিক্রম প্রশংসনীয় নহে। কিন্তু এরূপ মনে করা অসঙ্গত। র্তাহার কোন বিদেশকে করুভূক্ত করিয়াছিলেন কি না, সে বিচারে এখন কাজ নাই ; কেবল এইমাত্র বলিলেই বোধ হয় পৰ্য্যাপ্ত হইবে যে, ভারতবর্ষ যত বড় বিস্তীর্ণ ক্ষেত্র প্রাচীন রোমরাজ্যের পরিমাণ তাহ হইতে অধিক ছিল না এবং এক রূষ